বিরাট অঙ্কের ক্রিপটোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। ইডি অন্তত ১,৬৪৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে খবর। প্রায় ২২,৫০০ কোটি টাকার বিট কানেক্ট কেলেঙ্কারির তদন্ত নেমে ইডি এই বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
এদিকে এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত সতীশ কুম্ভানিকে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০২২ সালে। তাকে ৭০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ইডির আমেদাবাদের জোনাল অফিস জানিয়েছে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্য়াক্ট( পিএমএলএ) অনুসারে বাজেয়াপ্ত করা ছাড়াও ১৩.৫ লাখ টাকা নগদ, একটা বিলাসবহুল গাড়ি, ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই মামলায় ইডি আগেই ৪৮৯ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল।
সূত্রের খবর, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্য়াক্ট( পিএমএলএ)-র আওতায় এই মামলা করা হয়েছিল। সুরাট পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটা এফআইআর-এর উপর ভিত্তি করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্য়ে এই প্রতারণা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এরপর এজেন্সি তদন্তে নেমে প্রযুক্তি সম্পর্কে অত্যন্ত দক্ষ অফিসারদের নিয়ে টিম করেছিল। দেখা গিয়েছিল বহু আদানপ্রদান ডার্ক ওয়েবের মাধ্য়মে হয়েছিল। যাতে কেউ জানতে না পারেন সেকারণে এই ডার্ক ওয়েবের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছিল। এজেন্সি একাধিক ওয়েব ওয়ালেটের সন্ধান পেয়েছিল। সূত্র মারফত সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানতে পেরেছে, ১৬৪৬ কোটির ক্রিপটো কারেন্সি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এটা একটা বিশেষ ক্রিপটো ওয়ালেটে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।