পবিত্র কোরান শিক্ষা দেওয়া হত না স্কুলে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পাকিস্তানের দুটি বেসরকারি স্কুলকে সিল করে দিল স্থানীয় শিক্ষা দফতর। এদিকে সূত্রের খবর, লাহোর হাই কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক সরকারি বেসরকারি নির্বিশেষে বিভিন্ন স্কুলে নজরদারিও করছেন বিচারকরা। লাহোর হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে জেলা ও দায়রা আদালতের তরফে বিভিন্ন জেলায় স্কুলগুলিতে বাধ্যতামূলক কোরান শিক্ষা কতটা মেনে চলা হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে বিচারকদের নিয়োজিত করা হয়েছে। এই নজরদারির অঙ্গ হিসাবে বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শনও করছেন তারা। একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এই খবর।
এদিকে স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে গ্রেড -১ এর পড়ুয়াদের জন্য কোরানি কায়দা শেখানো বাধ্যতামূলক। গ্রেড-২ পড়ুয়াদের জন্য ১ ও ২ নম্বর প্যারা পড়ানোও বাধ্যতামূলক। গ্রেড-৩ পড়ুয়াদের জন্য ৪-৮ নম্বর প্যারা শেখানোর কথা বলা হয়েছে। গ্রেড-৬ এর পর থেকে পবিত্র কোরান ও তার অনুবাদ পড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষা দফতরের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জাফর খান সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে কোরান পড়া বাধ্যতামূলক করার কথা জানিয়েছেন। না হলে ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। কোথাও এই নির্দেশের অমান্য করা হচ্ছে কিনা তা জানতে বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শনের নির্দেশও দেওয়া হয়।
সেই পরিদর্শনের সময়ই চিনিয়ট শহরে বেসিক ইন্টারন্যাশানাল স্কুল ও রাজোয়া সদত গ্রামে মাসুমিন গ্রামে দুটি স্কুলকে সিল করেছে শিক্ষা দফতর। এমনকী শোকজও করা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। স্কুলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের কথাও বলা হয়েছে। এদিকে প্রাইভেট স্কুল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালিম আখতার বলেন,আমরা সকলেই মুসলিম। আমরা কোরান শিক্ষা নিতে বাধ্য। কিন্তু চরম পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শিক্ষা দফতরের আগাম নোটিশ দেওয়া উচিৎ ছিল।