দাদাদের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করা হলেও তাকে সেই অনুমতি দেয়নি পরিবার! জোর করে ভর্তি করানো হয়েছে কলা বিভাগে। কিন্তু, তার ওই বিষয়ে কোনও আগ্রহ নেই। সে এখনও বিজ্ঞান বিভাগেই পড়াশোনা করতে চায়!
টিভি চ্যানেলের সাংবাদিককে একথা বলেছিল সদ্য দশম শ্রণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এক কিশোরী। তার নাম খুশবু। বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে না পারার তার সেই আফশোস নজর কেড়েছিল টিভির বহু দর্শকের। সেই তালিকায় ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও।
তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, খুশবু বিহারের বাসিন্দা। এবং তার বাবা-মা নাকি চান না, সে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করুক! অথচ, তার দাদারা বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছে!
সূত্রের দাবি, একথা জানার পরই খুশবুর স্বপ্ন পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেন ধর্মেন্দ্র। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি নিজে ওই কিশোরীকে ফোন করেন। তাকে আশ্বস্ত করেন, সরকার তার পাশে রয়েছে। সে যাতে বিজ্ঞান নিয়েই পড়াশোনা করতে পারে, সেই ব্যবস্থা এবার সরকারই করবে। এমনকী, ওই কিশোরীকে যাতে বিজ্ঞান বিভাগে নতুন করে ভর্তি করা হয়, তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা বলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।
খুশবুর অভিযোগ ছিল, সে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাইলেও তার অভিভাবকরা তেমনটা চান না। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই খুশবু বিজ্ঞান পড়তে চেয়েছিল বলে সে দাবি করেছে। কিন্তু, তার বাবা-মা নাকি তাকে বলেন, তাঁরা চেয়েছিলেন দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় সে অন্তত মোট ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৫০০ নম্বর পাক। কিন্তু, খুশবুর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯।
খুশবুর অভিযোগ, এই বিষয়টিকে শিখণ্ডী করেই তার বাবা-মা তাকে জোর করে কলা বিভাগের ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, দাদাদের ক্ষেত্রে তাদের পছন্দকেই অগ্রাধিকার ও মূল্য দেওয়া হয়েছে। এই পক্ষপাতিত্বের প্রতিবাদ করে খুশবু। যা মন্ত্রীর কানেও পৌঁছে যায়!
খুশবুকে ফোন করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তার ভর্তির বিষয়ে দানাপুরের জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে! এমনকী, খুশবু যাতে তার স্বপ্নের সফর শুরু করতে পারে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তার পাশে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন ধর্মেন্দ্র!
তিনি খুশবুকে বলেছেন, সে যেন এবার থেকে আরও মন দিয়ে পড়াশোনা করে এবং ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষারও প্রস্তুতি নেয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর এই আশ্বাসবাণী পেয়ে খুশবু এখন খুব খুশি! আপাতত সে প্রস্তুত তার আগামী সফরের জন্য। যা তার স্বপ্নের সফর!