এবার গবেষণাপত্র জোগাড় করার জন্য বিশেষ মেহনত করতে হবে না । একটি সাইটেই মিলবে বেশিরভাগ গবেষণাপত্র। সারা দেশের যে কেউ অন্য গবেষকের লেখা বিনামূল্যে পড়তেও পারবেন। পড়ুয়াদের জন্য এমন ব্যবস্থাই করতে চলেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। সম্প্রতি মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা মারফত এ কথা জানানো হয়। ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ নামের এই প্রকল্প আগামী বছর থেকে শুরু হবে। ২০২৩ এর পয়লা এপ্রিল থেকে সব পড়ুয়া এই সুবিধা পাবে। একটি কেন্দ্রীয় সাইটের মাধ্যমেই ৭০ টি প্রকাশকের গবেষণাপত্র বিনামূল্যে পড়া যাবে।
এতদিন কোনও বিষয়ে বিশ্ব জুড়ে কী গবেষণা হচ্ছে তা জানতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হত। এ ছাড়া অনলাইনে কোনও গবেষণাপত্র পড়তে হলে গাঁটের কড়ি খরচ না করে উপায় ছিল না। বিশ্ববিখ্যাত রিসার্চ ম্যাগাজিনগুলোর সাবস্ক্রিপশন আকাশছোঁয়া। অনেক পড়ুয়ার পক্ষেই ডলার মূল্যে সে সব ম্যাগাজিন কিনে পড়া সম্ভব হয় না। এবার তাদের সমস্যা অনেকটাই কমতে পারে। কেন্দ্রের এই প্রকল্পটি সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই পাবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারাও এই সুবিধা পাবে।
বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনও না কোনও রিসার্চ ম্যাগাজিনের সাবস্ক্রিপশন কিনে রাখে। এটা মূলত তাদের পড়ুয়াদের জন্যই করা হয়। ম্যাগাজিনের সাবস্ক্রিপশনে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকে। তাই অন্য প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা ওই প্রতিষ্ঠানটির সাবস্ক্রিপশন থেকে ম্যাগাজিন পড়ার সুবিধা পেত না। এই সমস্যাই এবার মিটতে চলেছে। কেন্দ্রের একটি সাইটে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন ম্যাগাজিনের সাবস্ক্রিপশন নিয়েছে সে সব তথ্যই থাকবে। পড়ুয়ারা তাদের দরকারি ম্যাগাজিন নির্দিষ্ট আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে পড়তে পারবে। একটি সাইটে বেশিরভাগ ম্যাগাজিন পেলে সুবিধা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও। একই ম্যাগাজিনের জন্য একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে খরচ করে সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে না। এছাড়াও এতদিন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের লাইব্রেরিতে প্রিন্ট ম্যাগাজিন কিনে সংগ্ৰহ করত। একটি সাইটে বেশিরভাগ ম্যাগাজিন পেলে সে ঝামেলাও কিছুটা এড়ানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কলেজ ইউনিভার্সিটির বিদেশি পাঠ্য বইয়ের দাম বরাবর আকাশছোঁয়া। এই কারণে অনেক পড়ুয়াই পাঠাগারের ভরসায় থাকে। গবেষণাপত্রের পড়ার সুবিধা পেলে অনেক পড়ুয়ারই উপকার হবে।