উৎপল পরাসর
পুরো উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এমনটাই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে দাবি করলেন, তাঁর সরকারের আমলে উত্তর-পূর্ব ভারতে ৭৫ শতাংশ হিংসাত্মক ঘটনা কমে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার করবী অ্যাঙ্গলঙের লরিংথেপির জনসভায় মোদী বলেন, ‘দীর্ঘদিন উত্তর-পূর্ব (ভারতের) একাধিক রাজ্য আফস্পার অধীনে ছিল। কিন্তু গত আট বছরে স্থায়ী শান্তি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এই অঞ্চলের কয়েকটি জায়গা থেকে আইনের ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।’
মোদী দাবি করেন, গত আট বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতে ৭৫ শতাংশ হিংসাত্মক ঘটনা কমে গিয়েছে। সেজন্য মেঘালয় এবং ত্রিপুরা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মোদীর কথায়, 'অসমে তিন দশক ধরে বাহিনী ছিল। অতীতে অনুন্নয়নের জন্য সরকারের তরফে বারবার বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ বাড়ানো হত। কিন্তু গত কয়েক বছরে তৃণমূল স্তরে উন্নয়নের জন্য অসমের ২৩ টি জেলা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে সেখান থেকে আফস্পাও প্রত্যাহার করা যায়। একইভাবে নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর (দু'রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় এখনও আফস্পা কার্যকর আছে) থেকেও সেই আইন প্রত্যাহারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতে আফস্পা আইন (আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট) কার্যকর আছে। সেই আইনের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা আছে। তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। গত মার্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, নাগাল্যান্ড, অসম, মণিপুরের বিভিন্ন 'অশান্ত এলাকা'-র সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। শাহ বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারতের সরকার কয়েক দশক পর নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অসমে আফস্পার আওতায় থাকা অশান্ত এলাকাগুলির সংখ্যা কমিয়ে ফেলার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে। ’