বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ডিম, মাংস খেলে যৌন অক্ষমতা ও ডায়াবেটিসের ভয় থাকে! দাবি BJP রাজ্যের শিক্ষা কমিটির

ডিম, মাংস খেলে যৌন অক্ষমতা ও ডায়াবেটিসের ভয় থাকে! দাবি BJP রাজ্যের শিক্ষা কমিটির

ডিম, মাংস খেলে যৌন অক্ষমতা ও ডায়াবেটিসের ভয় থাকে! দাবি BJP রাজ্যের শিক্ষা কমিটির (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

কমিটির রিপোর্ট নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, কমিটির রিপোর্ট সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। যে রিপোর্টে ডিম, মাংসের মতো খাবারের ‘নেতিবাচক’ দিক তুলে ধরা হয়েছে। ঠাকুমার হাতে বানানো খাবারই সেরা বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

ডিম, মাংস খেলে যৌন অক্ষমতা ও ডায়াবেটিসের ভয় থাকে। এমনই দাবি করল বিজেপি-শাসিত রাজ্য কর্ণাটকের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি সংক্রান্ত কমিটি। স্কুলের পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা সংক্রান্ত রিপোর্টে ওই কমিটি দাবি করেছে, ডিম খেলে ‘জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে সমস্যা’ হতে পারে। তার ফলে মেয়েদের আগে থেকেই ঋতুচক্র শুরু হতে পারে। যা পড়ুয়াদের উপর প্রভাব ফেলবে। 

ওই শিক্ষা কমিটির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয়দের ছোটো শারীরিক গঠনের কারণে নিয়মিত মাংস এবং ডিম খেয়ে কোলেস্টেরলের মাধ্যমে বাড়তি শক্তি অর্জন করলে ‘জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে সমস্যা’ দেখা দিতে পারে। সেইসঙ্গে ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ভারতে যৌন ক্ষমতা হারানো, ডায়াবেটিস এবং দ্রুত ঋতুচক্র শুরুর মতো সমস্যা বাড়ছে। বিভিন্ন দেশের গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে, মানুষের শরীরের হরমোনের কার্যকারিতার উপর প্রভাব বিস্তার করে প্রাণীর প্রোটিন-নির্ভর খাদ্য। সেই পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য ‘উপযুক্ত’ ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে কমিটি। সেক্ষেত্রে কমিটির দাবি, ঠাকুমার হাতে বানানো খাবারই সেরা।

আরও পড়ুন: পিথাগোরাস থিওরেম ফেক নিউজ, বলছে BJP-শাসিত রাজ্যের সিলেবাস কমিটি!

যদিও শিক্ষা কমিটির সেই রিপোর্ট নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গবেষক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সিলভিয়া কারপাগামের দাবি, কমিটির রিপোর্ট সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। নীতির পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট ভুয়ো ধারণা বেশি ছড়ানো হচ্ছে। এরকম রিপোর্ট ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিত।  তাঁর প্রশ্ন, কেন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে সুপারিশ করছেন? 

কারপাগামের অভিযোগ, নয়া জাতীয় নীতি সংক্রান্ত কর্ণাটকের কমিটির সুপারিশে চূড়ান্তভাবে জাতপাত ঢুকে পড়েছে। কোনওরকম বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই নির্দিষ্ট বর্ণের আধিপত্য প্রমাণের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে কমিটি। ডিম নিয়ে যা যা বলা হয়েছে, তার পুরোটাই অবৈজ্ঞানিক। কোনওরকম প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে সেরকম সুপারিশ করা হয়নি। যোগ বা জিমন্যাস্টিক্স করা লোকজনদের নিয়ে এসে পুষ্টিগত নীতি নির্ধারণ করিয়ে দিচ্ছে সরকার। অথচ শিশুদের পুষ্টির নিরিখে চরম সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে কর্ণাটক। যা শিশুদের ভয়াবহ বিপদের মুখে ঠেকে দিচ্ছে। সেই বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করার পরিবর্তে খাদ্যকে ভিলেন বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কারপাগাম।

আরও পড়ুন: এবার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তে হবে, থাকবে বেদ, পুরাণের প্রাচীন বিজ্ঞানও 

পিথাগোরাস থিওরেম 'ফেক নিউজ'

ইতিমধ্যে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় কর্ণাটকের বিশেষ কমিটির প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্কুলের পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে, পিথাগোরাসের সূত্র বা নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার মতো ঘটনা 'ভুয়ো খবর'। পিথাগোরাসের সূত্রের শিকড় বৈদিক যুগে নিহিত আছে।

বন্ধ করুন