প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বতী সরকার গঠিত হয়েছে। তবে এখনও অস্থির অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফল স্বরূপ বাংলাদেশে খাদ্য সামগ্রিক মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এমনকী বাংলাদেশে পদ্মার রুপোলি ইলিশ এবার ভারতে রফতানি না করা হলেও গতবারের থেকে দাম বেশিই রয়েছে দেশটির বাজারে। আর সেই অবস্থার মধ্যেই মুরগির ডিমের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বাংলাদেশে। সেখানে এক একটি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। তবে ভারত থেকে মুরগির ডিম রফতানি হতেই এক লাফে সেই দাম কমে গেল অনেকটাই।
আরও পড়ুন: বকেয়া ৪২০০ কোটি টাকা! বাংলাদেশকে কড়া বার্তা আদানির, বিদ্যুৎ পাঠানো বন্ধ?
গত সপ্তাহ থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পুনরায় বাণিজ্য শুরু হয়েছে। তারপরে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী রফতানি করছে ভারত। তারমধ্যে মুরগির ডিম রয়েছে। সোমবার বেনাপোল স্থলবন্দর হবে ডিম বোঝায় বহু লরি বাংলাদেশে পৌঁছেছে। সব মিলিয়ে ভারত থেকে প্রায় ১৪ টন ডিম রফতানি করা হয়েছে বাংলাদেশে, যায় পরিমাণ হল ৩ লক্ষ ৩২ হাজারটি। সেই ডিম বাংলাদেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়তেই দাম কমে ৭ থেকে ৮ টাকা হয়েছে। তাতে খুশি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন মধ্যবিত্তরা।
বাংলাদেশের রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সমস্ত ডিম পরীক্ষা করার পর মঙ্গলবার বাজারজাত করা হয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করার ডিমের দাম পড়েছে ১১ হাজার ২৭২ ডলার। সেই হিসেবে প্রতিটি ডিমের দাম পড়েছে পাঁচ টাকা করে। আর বাজারজাত করে এই সমস্ত ডিমের দাম পড়ছে ৭ থেকে ৮ টাকা করে। জানা যায়, গত রবিবার বাংলাদেশে এক জোড়া ডিম বিক্রয় হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে বাংলাদেশে এই ডিম আমদানি করেছে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশন নামে একটি বাণিজ্যিক সংস্থা। ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থা ডিম রফতানি করেছে। যদিও ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বাংলাদেশে চাহিদা মেটাতে গেলে আরও বেশি পরিমাণে ডিম আমদানি করতে হবে। তবেই বাংলাদেশের মানুষ অল্প মূল্যে ডিম কিনতে পারবেন। এদিকে, গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ ভারতকে পুজোর আগে ইলিশ রফতানি করে আসছে। কিন্তু, এবার সেই রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।