১৯৯০-এর দশকে টিডিপি থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা এনটিআর-কে সরিয়ে দল নিজের করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইড়ু। কতকটা সেই পথে হেঁটেই এবার একনাথ শিন্ডে শিবসেনার উপর কার্যত নিজের অধিকার দাবি করলেন। এর আগে শিবসেনার তরফে হুইপ জারি করে বিকেল পাঁচটার মধ্যে সব বিধায়কদের মুম্বই আসতে বলা হয়েছিল। তবে একনাথ দাবি করেন, এই হুইপ কোনও কাজের নয়। পাশাপাশি বিদ্রোহী বিধায়কদের গোষ্ঠীর নয়া দলনেতা বেছে নেওয়া হয়। সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি শিন্ডে গোষ্ঠীর তরফে বিধানসভার উপ-অধ্যক্ষ এবং রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিকে পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে ৩৪ জন বিধায়কের স্বাক্ষর ছিল। উল্লেখ্য, শইবসেনার মোট বিধায়ক সংখ্যা ৫৫। এর মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে হবে একনাথকে।
এর আগে বিদ্রোহী বিধায়কদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিঠি জারি করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরের নিয়োগ করা দলীয় হুইপ সুনীল প্রভু। এদিন একটি চিঠি জারি করে বিদ্রোহী বিধায়কদের বলা হয়েছে যে বিকেল পাঁচটার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে মুম্বই ফিরতে। তা না হলে এই বিধায়কদের দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই চিঠি জারি করার পর শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আশা প্রকাশ করেন যে বিধায়করা গুয়াহাটি থেকে ফিরে আসবেন। তিনি জানান, যতক্ষণ না সব বিধায়ক ফিরছেন, ততক্ষণ দলের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
এর আগে এদিন সকালে সঞ্জয় রাউত দাবি করেন আজকে একনাথ শিন্ডের সঙ্গে তাঁর এক ঘণ্টা কথা হয়। তিনি বলেন, ‘একনাথ শিন্ডে আমাদের দলের অনেক পুরনো সদস্য। তিনি আমাদের বন্ধু, আমরা কয়েক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করেছি। একে অপরকে ছেড়ে যাওয়া আমাদের বা তাঁর জন্য সহজ নয়। আজ সকালে আমি তাঁর সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বলেছিলাম এবং পার্টি প্রধানকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।’