মারাঠা রাজনীতিতে কানাঘুষো ছিলই। বলা হত, উদ্ধব ঠাকরে নন, শিবসেনা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল একনাথ শিন্ডেরই। আজকে নিজে মুখে সেই কথাই দাবি করলেন চারবারের বিধায়ক একনাথ। দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সরকারের মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, শিবসেনার পরিষদীয় দলনেতা, মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারে মন্ত্রী, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলানো একনাথ শিন্ডে আজকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আস্থা ভোটে জয়ী হন তিনি। এরপরই তিনি বিস্ফোরক সব দাবি করেন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে।
একনাথ শিন্ডে এদিন বিধানসভায় বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারে আমাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। তবে পরে আমাদের বলা হয়, আমাকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি। আমাদের বিধায়করা তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তাঁরা আমাদের স্বাভাবিক মিত্রের (বিজেপি) সাথে ফিরে আসতে চাইছিলেন। আমি পাঁচবার চেষ্টা করেছি কিন্তু বিজেপির সাথে হাত মেলাতে ব্যর্থ হয়েছি।’
এদিন সহজেই আস্থা ভোটে জয় পায় একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। এদিন বিধানসভায় ১৬৪টি ভোট পড়ে একনাথ শিবির ও বিজেপির জোট সরকারের পক্ষে। এদিকে আজকে বিরোধীদের তরফে কংগ্রেসের অশোক চহ্বান সহ ৮ জন বিধায়ক দেরিতে পৌঁছানোয় ভোটদান করতে পারেননি। এই আবহে মহাবিকাশ আঘাড়ির পক্ষে মাত্র ৯৯টি ভোট পড়ে।
আজকের ভোটাভুটির সঙ্গেই মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক পালাবদল সম্পূর্ণ হল। এর আগে ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন একনাথ শিন্ডে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এর আগে উদ্ধব ঠাকরে এবং মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২০ জন বিধায়ক নিয়ে সুরাটে যান একনাথ শিন্ডে। পরবর্তীতে তাঁর শিবিরে আরও বিধায়ক যোগ দেন। বিদ্রোহী বিধায়করা মিলে গুয়াহাটি যান। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ থাকার পর গোয়াতে পা রাখেন বিদ্রোহী বিধায়করা। দীর্ঘ বিদ্রোহের পর শেষ পর্যন্ত ৩০ জুন মুম্বইতে পা রাখেন একনাথ। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন একনাথ। আর আজ তিনি আস্থা ভোটে জিতে নিজের সংখ্যাবল প্রমাণ করলেন।