মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া মোড়। গতকাল দিনভর একনাথ শিন্ডেকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছে মারাঠা রাজনীতি। দাবি করা হচ্ছিল যে ২২ বিধায়ক নিয়ে একনাথ ঘাঁটি গেড়েছেন বিজেপি শাসিত গুজরাটে। তবে পরে জানা গেল যে একনাথ ঠিকানা বদল করেছেন। এবারও তাঁর গন্তব্য বিজেপি শাসিত এক রাজ্য। পশ্চিম ভারত থেকে একেবারে উত্তর-পূর্বে পৌঁছে গিয়েছেন একনাথ।
গতকাল দিনভর গুজরাটের সুরাটে ছিলেন একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর অনুগামী বিধায়করা। পরে এই মারাঠা বিধায়ক দাবি করলেন তিনি বর্তমানে বিজেপি শাসিত অসমে রয়েছেন। এবং তাঁর দাবি, ২২ নয় বরং ৪০ জন বিধায়ক তাঁকে সমর্থন করছেন। এবং এই সংখ্যাটা উদ্ধব ঠাকরের কপালের ঘাম ছোটানোর জন্যে যথেষ্ট। কারণ ৫৬ বিধায়কের দলে যদি ৪০ জন বিধায়ক একনাথের সঙ্গে থাকেন, তাহলে দলবিরোধী আইন এড়িয়ে অনায়াসে শিবসেনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন একনাথরা।
এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় একনাথ বলেন, ‘আমরা বালাসাহেব ঠাকরের শিবসেনা ত্যাগ করিনি। আমরা বালাসাহেবে হিন্দুত্বের নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’ পাশাপাশি সাংবাদিকদের কাছে একনাথ দাবি করেন যে তাঁর সঙ্গে ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। জানা গিয়েছে, গতকাল উদ্ধব ঠাকরে একনাথ শিন্ডেকে ফোন করে ১০ মিনিট কথা বলেছিলেন। তারপরই একনাথরা গুজরাট থেকে অসমে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলে। এদিকে ফোনালাপে উদ্ধব ঠাকরে একনাথ শিন্ডেকে দলে ফিরতে বলেছিলেন। যদিও সূত্রের খবর, একনাথ দাবি জানান যে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়লে তিনি দলে ফিরবেন, নচেৎ নয়। এই আবহে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাও একনাথের সঙ্গে দেখা করেন সুরাটে। এই সবের মাঝেই একনাথ শিন্ডেকে দলের হুইপ পদ থেকে অপসারিত করা হয়। বদলে একনাথ নিজের টুইটার বায়ো থেকে ‘শিবসেনা’ লেখা উড়িয়ে দেন।