মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্বের লড়াই থেকে কার্যত নিজেকে 'সরিয়ে নিয়েছেন' একনাথ শিন্ডে। তাও তিনি এই ইস্যুতে বল ঠেলে দিয়েছিলেন 'অভিভাবক' নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের কোর্টে। এই আবহে গতরাতে অমিত শাহের সঙ্গে মহায্যুতি জোটের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের পাশাপাশি ছিলেন একনাথ শিন্ডে এবং এনসিপির অজিত পাওয়ার। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীসই। এরই মাঝে অমিত শাহের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় গতরাতে। মনে করা হয়েছিল এই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে ঘোষণা হতে পারে। তবে তা হয়নি। তবে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে বড় আপডেট দিলেন বিদায়ী সিএম একনাথ শিন্ডে। (আরও পড়ুন: 'ভারতের কনস্যুলার ক্যাম্পগুলিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে কানাডা')
আরও পড়ুন: জেলে ভরেই খান্ত হল না বাংলাদেশ, চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের ঘোষণা
গতকাল দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে একনাথ বলেন, 'বৈঠক ভালো এবং ইতিবাচক হয়েছে। এটাই প্রথম বৈঠক ছিল। আমরা অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডার সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপর মহায্যুতি জোটের আরও একটি বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। সেই বৈঠকটি মুম্বইতে অনুষ্ঠিত হবে।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ওঠে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ, মুখ খুলল সেই সেনা)
আরও পড়ুন: ঘুষকাণ্ডে তোপ বিরোধীদের, এরই মাঝে কেরলের বাম সরকার নয়া চুক্তি করল আদানির সঙ্গে
সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮-র মধ্যে ২৩৩টি আসনে জয় পেয়েছে মহায্যুতি জোট। তার মধ্যে আবার বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জিতেছে। এই আবহে মহারাষ্ট্রের পবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে অনড় বিজেপি। তবে সূত্রের দাবি, একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে ইচ্ছুক নন। তবে সম্প্রতি তিনি কিছুটা 'নরম' হয়েছেন। তবে তার আগে বিহারের উদাহরণ তুলে ধরে শিবসেনার দাবি ছিল, একনাথকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হোক।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এরপর ২০১৯ সালের ভোটের পর তিনদিনের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবেন্দ্র। ২০১৯ সালেই জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়েছিল বিজেপি এবং শিবসেনা। তবে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে বিবাদের জেরে উদ্ধব ঠাকরে হাত মিলিয়েছিলেন এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে। পরবর্তীতে শিবসেনাকে ভাঙিয়ে এনে জোট সরকার গড়ে বিজেপি। সেই জোটে বিজেপি 'বড় দাদা' হলেও তারা মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেয় একনাথ শিন্ডেকে। সেবার কোনও পদে থাকবেন না বলে ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন দেবেন্দ্র। পরে দলের 'নির্দেশে' তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হন। পরে এনসিপি ভাঙিয়ে এনেও জোটে সামিল করে বিজেপি। অজিত পাওয়ারও উপমুখ্যমন্ত্রী হন। তবে এবার বিজেপি একাই 'ম্যাজিক ফিগার'-এর কাছে পৌঁছে গিয়েছে। দলের 'স্ট্রাইক রেট' ৮৫ শতাংশের ওপরে। এই আবহে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।