পেশায় এককালে ছিলেন অটোচালক। পাশাপাশি ছিলেন শিবসেনার কর্মীও। মাঝখানে নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিলেও পরে মারাঠা রাজনীতিতে নিজের মতো করে পথ হাঁটেন একনাথ শিণ্ডে। ধীরে ধীরে শিবসেনাকে থানের মতো জায়গায় পোক্ত করে দেন তিনি। পরবর্তীতে এই একনাথ শিণ্ডে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর তখতে বসেন। শিবসেনার একটা অংশের বিধায়কদের সমর্থনে তিনি চ্যালেঞ্জ জানান বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধবকে। হয়ে ওঠেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। এবার একনাথের নজর উদ্ধব ঠাকরের পার্টির ১৮৮ জন নেতার দিকে।
বুধবার একনাথ শিণ্ডে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি লেখেন। তাতে তিনি লেখেন তাঁর পার্টিতে শিবসেনা হিসাবে মান্যতা দেওয়া হোক। পার্টির চিহ্ন হিসাবে যেন ধনুক-বাণকেই বেছে নেওয়া হয়, তার বার্তাও দেন একনাথ শিণ্ডে। উল্লেখ্য, শিবসেনার সাংসদ, বিধায়করা আপাতত বিভিন্ন শিবিরে ভাগাভাগির মধ্যে রয়েছেন। তবে এই জায়গা থেকেও বাল ঠাকরের তৈরি পার্টি থেকে উদ্ধব ঠাকরেদের সরিয়ে ফেলা ততটা সহজ হবে না একনাথের পক্ষে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ঋষিকে ছাপিয়ে যেতে পারেন লিজ! এমন দাবি কাদের?
শিবসেনা সংগঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিনিধি সভা। সেটি ২৮২ জনের সভা হয়। এই অঙ্কের মধ্যে ১৮৮ জনকে শিণ্ডে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করছেন। এমনই দাবি সূত্রের। তবে এই চ্যালেঞ্জ যদি একনাথ পার করে যান তাহলে উদ্ধব শিবিরকে দুর্বল করে দেওয়া তাঁর কাছে কোনও ব্যাপার হবে না! ১৮৮ জন নেতাকে নিজের পক্ষে শিণ্ডে আনলে পার্টি বিভাজিত এই দাবি করতে পারবেন। তারপর তাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজের স্ট্র্যাটেজিতে হাঁটতে পারেন শিণ্ডে। বলছে সূত্র। বর্তমানে শিবসেনায় ১৩ টি পদ রয়েছে। যদি ২৮২ জনের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ একনাথ শিণ্ডেরা দখল করতে পারেন, তাহলে তা উদ্ধব শিবিরকে উদ্বেগে রাখতে পারে। আর সূত্রের দাবি, এই উদ্যোগ শুরু করে দিয়েছে শিণ্ডে ক্যাম্প।