সহজেই আস্থা ভোটে জয় পেল একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। এদিন বিধানসভায় ১৬৪টি ভোট পড়ে একনাথ শিবির ও বিজেপির জোট সরকারের পক্ষে। এর আগে গতকালই সরকার পক্ষের তরফে বিজেপির রাহুল নাবরেকর স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই ভোটাভুটিতেও ১৬৪টি ভোট পড়েছিল সরকারের পক্ষে। এদিকে আজকে বিরোধীদের তরফে কংগ্রেসের অশোক চহ্বান সহ ৮ জন বিধায়ক দেরিতে পৌঁছানোয় ভোটদান করতে পারেননি। এই আবহে মহাবিকাশ আঘাড়ির পক্ষে মাত্র ৯৯টি ভোট পড়ে।
আজকের ভোটাভুটির সঙ্গেই মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক পালাবদল সম্পূর্ণ হল। এর আগে ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন একনাথ শিন্ডে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এর আগে উদ্ধব ঠাকরে এবং মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২০ জন বিধায়ক নিয়ে সুরাটে যান একনাথ শিন্ডে। পরবর্তীতে তাঁর শিবিরে আরও বিধায়ক যোগ দেন। বিদ্রোহী বিধায়করা মিলে গুয়াহাটি যান। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ থাকার পর গোয়াতে পা রাখেন বিদ্রোহী বিধায়করা। দীর্ঘ বিদ্রোহের পর শেষ পর্যন্ত ৩০ জুন মুম্বইতে পা রাখেন একনাথ। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন একনাথ। আর আজ তিনি আস্থা ভোটে জিতে নিজের সংখ্যাবল প্রমাণ করলেন।
এদিকে একনাথ শিন্ডে আজকে আস্থা ভোট জিতলেও এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার দাবি করেন, একনাথ শিবিরের আর বিজেপির জোট সরকারের মেয়াদ ছয় মাস। পাওয়ার বলেছেন যে অনেক বিদ্রোহী বিধায়ক যারা শিন্দেকে সমর্থন করছেন তাঁরা বর্তমান ব্যবস্থায় খুশি নন। মন্ত্রীদের পোর্টফোলিও বণ্টন হয়ে গেলে তাদের অস্থিরতা বেরিয়ে আসবে। যা শেষ পর্যন্ত সরকারের পতন ঘটাবে।