নারী অধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে তিনি ছিলেন জোরদার আন্দোলনের সদস্য। ৮৯ বছর বয়সে সেই এলাবেন ভাট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন গুজরাতের হাসপাতালে। দীর্ঘদিনের সমাজকর্মী হিসাবে খ্যাতনামা এই মহীয়সী এলাবেন পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত। তাঁর প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতে মহিলাদের ক্ষমতায়ণের পক্ষে ছিল তাঁর ‘সেল্ফ এম্প্লয়েড উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন’ । সংগঠন ‘সেবা’র হাত ধরে বহু আর্তের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই সমাজকর্মী। সামান্য অসুস্থতার পর ২ নভেম্বর বুধবার গুজরাতের আমেদাবাদের এক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে টুইট বার্তায় নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘এলাবেন ভাটের মৃত্যু সংবাদ শুনে বেদানহত। মহিলাদের স্বনির্ভরতা, সামাজিক কাজ, যুব সমাজের শিক্ষার জন্য তাঁর প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি চিরকালই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ’ এলাবেন ভাটের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান নরেন্দ্র মোদী। ১৯৩৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এলাবেন ভাট। এরপর তাঁর পড়াশোনা চলতে থাকে, সার্বজনিক গার্লস হাইস্কুলে। এরপর ১৯৫২সালে গুজরাতের সুরতের এমবিটি আর্টস কলেজ থেকে তিনি স্নাতক পাশ করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি গোল্ড মেডেলের অধিকারী হন।
১৯৫৫ সালে গুজরাতের টেক্সটাইল লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হন ভাট। মহাত্মা গান্ধীর পথ অনুসরণ করে তিনি শুরু করেন, মহিলাদের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন 'সেবা'। সেল্ফ এম্লয়েড মহিলাদের জন্য এই উদ্য়োগ নেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি এই সংগঠনের জেনেরাল সেক্রেটারি পদে ছিলেন। যে সমস্ত মহিলারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ছোট ব্যবসার উদ্যোগ নিতে চান 'সেবা' তাঁদের ছোট ছোট ঋণ দিত কো অপরেটিভ ব্যাঙ্ক হিসাবে। ১৯৭৪ সাল থেকে সেই উদ্যোগ শুরু হয়। এরপর দীর্ঘ পথচলা শুরু হয় এই উদ্যোগের। এলাবেন ভাটের প্রাপ্ত পুরস্কারের তালিকায় যেমন রয়েছে পদ্মশ্রী, তেমনই রেছে রমন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড, রয়েছে পদ্মভূষণ সম্মান।