রাশিয়ার বিমানবন্দরে আজব কাণ্ড। এক প্রবীণার কীর্তিকলাপে হেসে খুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে। মুহূর্তে ভাইরাল সেই ঘটনা। ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে মজা পেলেন নেট নাগরিকরাও। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুললেন ব্যস্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও নজরদারিতে ঢিলেমি নিয়ে।
ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল?
সোশাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, বিমানবন্দরে যে অংশে যাত্রীদের লটবহর সংগ্রহ করার জন্য 'ব্য়াগেজ কনভেয়র বেল্ট' থাকে, তার পাশেই একটি কাউন্টারে বসে রয়েছেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। তাঁরা অন্য বিমানযাত্রীদের পরিষেবা প্রদান করতে ব্যস্ত রয়েছেন।
ঠিক সেই সময়েই ব্য়াগেজ কনভেয়ার বেল্ট থেকে নিজের বাক্স-প্যাঁটরা তুলতে গিয়েও ফসকে যান এক বৃদ্ধা। এরপর আর অপেক্ষা করেননি তিনি। বিমানবন্দরের কর্মীদের কাছে সাহায্যও চাননি।
'নিরাপত্তাবেষ্টনী' খুলে একেবারে সটান চলমান ব্য়াগেজ কনভেয়র বেল্ট-এর উপর উঠে পড়েন তিনি! টলোমলো পায়ে কিছুটা এগোনোর পরই ধপাস করে পড়ে যান তার উপর! ঢুকে যান স্বয়ংক্রিয় মেশিনের ভিতর! ততক্ষণে ঘটনা খেয়াল করেন বিমানবন্দরের কর্মীরা!
কোথায় ঘটে এই ঘটনা?
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, ঘটনাটি ঘটে রাশিয়ায়। ওই বৃদ্ধার গন্তব্য ছিল মস্কো শহরের দোমোদেদেভো এয়ারপোর্ট। এস৭ এয়ারলাইন্সের বিমান ধরার জন্য ভ্লাদিকাভকাজ বিমানবন্দরে চেক ইন করেছিলেন তিনি। সেই সময়েই ঘটে যায় এই ঘটনা। তাঁর কাণ্ড দেখে বাকি যাত্রীরাও হতভম্ব হয়ে যান।
এদিকে, এই ঘটনা দেখার সঙ্গে সঙ্গে অ্য়ালার্ম বাজিয়ে বাকিদের সতর্ক করেন সেখানে উপস্থিত বিমানবন্দরের কর্মীরা। কিন্তু, ততক্ষণে বৃদ্ধা বাকিদের চোখের আড়ালে চলে গিয়েছেন!
কী বলল সোশাল মিডিয়া?
সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার যে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে, সেটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২১ সেকেন্ড। কিন্তু, ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ সেটি দেখে ফেলেছেন। ভিডিয়ো দেখে নানা মুনি নানা মতামত প্রকাশ করেছেন।
এক্স ইউজারদের একটা বড় অংশই অবশ্য এই ভিডিয়ো দেখে মজা পেয়েছেন। তাঁদের অনেকেরই মনে হয়েছে, ওই বৃদ্ধা নেহাতই সহজ সরল মনে ব্যাগেজ কনভেয়র বেল্টের উপর উঠে পড়েন।
কিন্তু, সকলে এতটা নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। তাঁদের বক্তব্য, একটি ব্যস্ত বিমানবন্দরে এতজন কর্মীর সামনে একজন প্রবীণ ওই জায়গা পর্যন্ত পৌঁছলেন কীভাবে? তিনি যে নিজের গতিবিধি সংক্রান্ত নিয়ম সম্পর্কে অবহিত নন, সেটা তো স্পষ্ট। কিন্তু, বিমানবন্দরের কর্মীরা কেন সময় মতো তাঁকে আটকাতে পারলেন না? কেন তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন না?
অনেকেরই বক্তব্য হল, এর ফলে যেমন ওই বৃদ্ধা বিপদে পড়তে পারতেন, তেমনই বিমানবন্দরের কর্মীদের নজরদারি যদি এতটাই ঢিলেঢালা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যেকোনও সময়েই তো বড় বিপদ ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বৃদ্ধার তেমন চোট বা আঘাত লাগেনি বলেই জানা গিয়েছে। তাঁর অন্য কোনও ক্ষতিও হয়নি।