সোমবার সকালেই জানা গিয়েছিল, বিকেল চারটের পরেই জানা যাবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। অবশেষে তা জানা গেল। ৬ এবং ১১ নভেম্বর দু' দফায় ভোট হবে বিহারে। ফলাফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর। এই আবহে বিহার ভোটকে আরও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে ১৭টি নতুন উদ্যোগ চালু করল নির্বাচন কমিশন।
সোমবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ১৭টি নতুন উদ্যোগ চালু করার ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, এই পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র রাজ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে উন্নত করার জন্যই নয়, ভবিষ্যতে দেশব্যাপী বাস্তবায়নের মডেল হিসেবেও কাজ করবে। যার মধ্যে রয়েছে- বুথ-স্তরের এজেন্ট, বুথ লেভেল অফিসার এবং পুলিশ অফিসারদের প্রশিক্ষণ, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর), কর্মকর্তাদের জন্য বর্ধিত বেতন, এপিক বা সচিত্র পরিচয়পত্র বিনামূল্যে হাতে তুলে দেবে, বিএলওদের জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোবাইল ফোন জমা রাখার সুবিধা, আরও স্পষ্ট ভোটার ইনফরমেশন স্লিপ যাতে ভোটার যাচাই সহজ করতে সিরিয়াল ও পার্ট নম্বর স্পষ্ট ভাবে প্রদর্শন করা যায়, ওয়ান-স্টপ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, প্রতি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সর্বাধিক ১,২০০ ভোটাদাতা, রাজনৈতিক দলগুলির শিবির ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ১০০ মিটারের ঠিক বাইরে তৈরি করা করা যাবে, সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ ওয়েবকাস্টিং, ইভিএম ব্যালট পেপার গাইডলাইন সংশোধিত করা,ডিজিটাল ইনডেক্স কার্ড ও রিপোর্ট, অসংলগ্নতা ধরা দিলে ভিভিপ্যাট গণনা আবশ্যক এবং পোস্টাল ব্যালটের উপর কড়া নজরদারি।
এসআইআর
বিহার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। গত বর্ষাকালীন অধিবেশনে সংসদের অধিকাংশ দিনই ভন্ডুল হয়ে গিয়েছিল বিরোধীদের একযোগে বিক্ষোভে। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। বিশেষত ভোটার তালিকা ও নাগরিকত্বের প্রমাণ স্বরূপ আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ডকে কমিশন গ্রাহ্য না করায় বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এই আবহে জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘এই অনুশীলনের মাধ্যমে ২২ বছর পর ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ হয়েছে। এসআইআর প্রক্রিয়ায় দেশকে পথ দেখিয়েছে। ইতিমধ্যে নতুন ভোটারদের কিংবা নতুন ঠিকানাধারী ব্যক্তিদের নতুন ভোটার কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তাঁর কথায়, 'আমাদের ২৪৩টি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটিতে একজন করে নির্বাচনী নিবন্ধন কর্মকর্তা রয়েছেন।' নির্বাচন কমিশন ২৪ জুন থেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করেছিল। ১ আগস্ট খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে তা দেওয়া হয়েছিল। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘এবারের নির্বাচন কেবল জনগণের জন্য সহজই হবে না, বরং শান্তি ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’