নিজেদের জেদই বজায় রাখল নির্বাচন কমিশন। তাঁরা আগে রাজ্যসভার খালি হওয়া আসনের নির্বাচন করতে চেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মত জানতে চেয়েছিল। তখন সবুজ সংকেত দেওয়া হলেও বলা হয়েছিল বিধানসভার উপনির্বাচনগুলি করার কথাও। এমনকী তা নিয়ে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের অফিসে লিখিত দাবি জানিয়ে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। আর শুক্রবারই নিজেদের জেদ বজায় রেখে দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে দেওয়া আসনের নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ৯ আগস্ট এই আসনের নির্বাচন হবে বলে নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে। একুশের নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ। অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শিবির বদল করেন তিনি। যা এককথায় নজিরবিহীন। তারপর তিনি গেরুয়া শিবিরের দিকে ধুঁকেছেন। সেই আসনের এবার নির্বাচন করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভার উপনির্বাচন চেয়ে কেন মিলল রাজ্যসভার নির্বাচনের তারিখ?
আবার দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনের নির্বাচনের কথা ঘোষণা করা হলেও মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। এখানেও প্রশ্ন উঠছে, একযাত্রায় পৃথক ফল কেন? মানস ভুঁইয়া এখন জয়ী বিধায়ক। সেখানে তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসন নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আমাদের প্রার্থী প্রস্তুত আছে। নির্বাচনে তিনি জিতবেনও। ফলে চিন্তার কিছু নেই। কোভিডবিধি মেনে নির্বাচন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে আরও একটা ফাঁকা আসনেরও নির্বাচন করা যেত। সেটা কেন করা হল না? বোঝা যাচ্ছে না।