২০২১ সালের থেকে শিক্ষা নিয়ে কি ২০২২ সালের নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন? আজ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশ সহ ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গেও কথা বলবেন কমিশনের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের পাঁছ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই আবহে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে চায় কমিশন। ওমিক্রন সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোন রাজ্যে কী পরিস্থিতি, তা খতিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে যাওয়ার কথা কমিশনের আধিকারিকদের। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে যাবেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলে থাকবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র স্বয়ং। পরিস্থিতিতে খতিয়ে দেখার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে উত্তরপ্রদেশ ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। করোনার জেরে এই আবেদনের পরই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন নিয়ে দেখা দেয় একটা অনিশ্চয়তা।
এর আগে ২০২১ সালে দেখা গিয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের শত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও করোনাবিধি অমান্য করেই চলে ভোট প্রচার। খোদ প্রধানমন্ত্রীর জনসভাগুলিতেও করোনা বিধি মানার কোনও বাধ্য বাধকতা ছিল না। আর এর পরেই দেশে মৃত্যুমিছিল দেখা যায়। আর সেই সময় উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। এই আবহে জনবহুল এই রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে কমিশনেরও। তাই পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিয়ে আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।