২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বাদে ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে অস্তিত্ব রয়েছে তৃণমূলের। তবে সেই অস্তিত্ব দল ভাঙানোর ফলে। গোয়ায় মমতাকে সামনে রেখে ভোটে নেমে অবশ্য খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে আম আদমি পার্টি পঞ্জাবে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে। গোয়াতেও দুটি আসনে জিতেছে আম আদমি পার্টির প্রার্থী। উত্তরাখণ্ডেও অস্তিত্বের জানান দিয়েছে আম আদমি পার্টি। এই আবহে জাতীয় রাজনীতির নিরিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেক্কা দিয়ে দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
পঞ্জাবে জয় আম আদমি পার্টির জন্য ঐতিহাসিক। এই প্রথমবার কোনও আঞ্চলিক দল একাধিক রাজ্যে সরকার গঠন করতে চলেছে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ‘জাতীয় দল’ হলেও ২২-এর বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ায় ধরাসায়ী তারা। আর এতে ২০২৪-এর স্বপ্নে চিড় ধরেছে ঘাসফুল শিবিরের। এদিকে ২২-এর বিধানসভা নির্বাচবে পঞ্জাব কোনও ছাপই ফেলতে পারেনি সেভাবে। কোথাও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিতেও ব্যর্থ হাত শিবির। এই আবহে আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে বিরোধী ঐক্য তৈরি করতে হলে তাতে যে আম আদমি পার্টির গুরুত্ব অনেকটাই থাকবে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল ২২-এর নির্বাচনে।
দিল্লিতে আম আদমি পার্টির কাছে হেরে দীর্ঘদিন ধরে কেজরির দলকে বিরোধী জোট থেকে দূরে রেখেছে কংগ্রেস। রাজ্যের হিসেবে দেখতে গেলে এখন আম আদমি পার্টি এখন কংগ্রেসের সমকক্ষ। নিজেদের বলে কংগ্রেস এখন শুধুমাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে (রাজস্থান ও ছত্তিশগড়)। এবার আম আদমি পার্টিও নিজেদের দমে দুটি রাজ্যে সরকার গঠন করছে। তাও বিপুব জনাদেশ নিয়ে এই সরকার গঠন করছে তারা। আবার উত্তরাখণ্ড, গোয়ায় ছাপ ফেলেছে কংগ্রেস। তাই তৃণমূলের থেকে কিছুটা হলেও উচ্চতায় চলে গেল আম আদমি পার্টি।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভালো। তিনি বাংবার বলেছেন যে আম আমি পার্টি, টিআরএস এবং বিজু জনতা দলকে বিরোধী জোটের আলোচনায় নেওয়া উচিত। তবে পরে তৃণমূল নিজে কংগ্রেসের ছত্রছায়া থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে একলা চলো নীতিতে আপাতত তৃণমূলের থেকে এগিয়ে গিয়েছে আম আদমি পার্টি।