আগামী লোকসভা নির্বাচনে যদি বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ জোট হয় তাহলে বিজেপিকে হারানো অসম্ভব নয়। সম্প্রতি এই মন্তব্য করেছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে তখন তাঁর আরও একটি মন্তব্য চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন যে সব বিরোধী দল এবং রাজনৈতিক জোট রয়েছে, তাদের দ্বারা সেটা সম্ভব নাও হতে পারে বলে মন্তব্য করলেন প্রশান্ত কিশোর। কেন্দ্রের শাসকদলকে হারাতে গেলে বিরোধী দলগুলির সম্মিলিত সামাজিক ভিত আরও অনেকটা প্রসারিত করা প্রয়োজন বলে তাঁর মত।
ঠিক কী বলেছেন প্রশান্ত কিশোর? একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোরের এই মন্তব্য ঝড় তুলেছে। মঙ্গলবার ভোটকুশলী বলেন, ‘২০২৪ সালে বিজেপিকে কি হারানো সম্ভব? আমি এর উত্তরে জোর গলায় বলতে চাই, অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু বর্তমানের নেতা, দল এবং তাদের যা জোট রয়েছে, তারা কি পারবে বিজেপি-কে হটাতে? সম্ভবত না।’ কিন্তু কেন এমন মন্তব্য করলেন? এই বিষয়ে একটি উদাহরণ তুলে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে জয়ী হয় এসপি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০১৪ সালের লোকসভা জিতে নেয় বিজেপি।’
এখন কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে সব দলই এখন বিজেপিকে সরাতে চায়। তাহলে এখনকার নেতা, দল এবং তাদের যা জোট রয়েছে সেটা দিয়ে সম্ভব হবে না কেন? এই বিষযে ভোটকুশলীর মত, বিজেপিকে পরাজিত করার জন্য যিনি বা যাঁরাই চেষ্টা করুন—তাঁর বা তাঁদের পাঁচ থেকে দশ বছরের কাজ এবং চিন্তাভাবনা থাকতে হবে। তাছাড়া অবিজেপি দলগুলির মোট লোকসভা আসন সংখ্যা ২০০টি। বিজেপি এই আসনগুলি ছেড়ে দিয়ে বাকি সাড়ে ৩০০ আসন ধরে রাখতে চাইবে। সেখানে ভাগ বসাতে গেলে সমস্ত বিরোধী শক্তির সম্মিলিত যে সামাজিক ভিত্তি তা অনেকটাই বাড়াতে হবে।
জাতীয় রাজনীতিতে এখন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং হরিয়ানা রাজ্যে সংগঠন মজবুত করছে তারা। সেখানে প্রশান্ত কিশোরের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই পিকে’র সূত্র—বিরোধীদের সম্মিলিত চওড়া সামাজিক ভিতই হতে পারে বিজেপিকে হারনোর অস্ত্র।