নির্বাচনী আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এ স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই বিল পাশ হয়েছিল। নির্বাচনী সংসোধনী বিল ছাড়াও মাদকদ্রব্য সংশোধনী বিলেও সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত সংশোধনী আইনটি জটিলতা কাটাতে আনা হলেও নির্বাচনী সংশোধনী আইনটি মানুষের জীবনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী সংশোধনী আইনের প্রস্তাবনা নিয়ে আপত্তি ছিল বিরোধীদের। ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করার বিরোধিতা করে সংসদে সরবও হয়েছিলেন বিরোধীরা। তবে শেষ পর্যন্ত হট্টগোলের মাঝেই সেই বিল দুই কক্ষেই পাশ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, এই আইন অনুযায়ী, পরিচয় প্রমাণের জন্য ভোটার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য রেজিস্ট্রেশন অফিসার আধার কার্ডের নম্বর চাইতে পারেন।
আইন মন্ত্রীর দাবি, এই সংশোধনীর মাধ্যমে ভুয়ো ভোটে রাশ টানা সম্ভব হবে। এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা আসবে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি দাবি ছিল, এই সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, বিরোধীরা যে অভিযোগ করছেন, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বিলের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে দলীয় সাংসদদেরও ক্লাস নেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।