অনীশ ইয়ান্ডে
ইলেকটোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০২১-২২ সালে বিজেপি সবথেকে বেশি অনুদান পেয়েছে। সব মিলিয়ে সেই অঙ্কটা ৩৫১.৫০ কোটি। দলগুলি যত ডোনেশান পেয়েছিল তার মধ্য়ে এটি ৭২.১৭ শতাংশ। তবে কংগ্রেস অনেকটাই পেছনে। তার আগে রয়েছে টিআরএস, সমাজবাদী পার্টি, আপ।
এডিআরএর রিপোর্ট অনুসারে বিজেপি পেয়েছিল ৩৫১.৫০ কোটি নির্বাচনী ট্রাস্ট থেকে। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি যেটি এখন ভারত রাষ্ট্র সমিতি সেই দল পেয়েছিল ৪০.০০ কোটি টাকা।
আসলে এই ট্রাস্ট হল নন প্রফিট অর্গানাইজেশন। মূলত কর্পোরেট সংস্থা বা কোনও ব্যক্তি থেকে এরা অনুদান সংগ্রহ করে রাজনৈতিক দলের জন্য। নির্বাচন সংক্রান্ত খরচের জন্য স্বচ্ছতা বজায় রাখার কথাও বলা হয় ট্রাস্টের তরফে। এনিয়ে বার্ষিক রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়।
এদিকে সমাজবাদী পাটি, আম আদমি পার্টি,, ওয়াই এস আর কংগ্রেস, কংগ্রেস, পঞ্জাবের শিরোমণি আকালি দল, পঞ্জাব লোক কংগ্রেস পার্টি, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, ডিএমকে সব মিলিয়ে ৯৫.৫৬ কোটি টাকা পেয়েছে।
প্রুডেন্ট ইলেকটোরাল ট্রাস্ট সবথেকে বেশি ৩৩৬.৫০ কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপিকে। এবি জেনারেল ইলেকটোরাল ট্রাস্ট, সমাজ ইলেকটোরাল ট্রাস্ট ১০ কোটি ও ৫ কোটি দিয়েছে।
কংগ্রেস পেয়েছে ১৮.৪৪ কোটি টাকা। সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ২৭ কোটি টাকা। আপ পেয়েছে ২১.১২ কোটি টাকা।
পঞ্জাবের শিরোমণি আকালি দল পেয়েছে ৭ কোটি টাকা। পঞ্জাব লোক কংগ্রেস পার্টি ১ কোটি টাকা পেয়েছে, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, ডিএমকে ৫০ লাখ টাকা করে পেয়েছে।
এদিকে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ৮৯টি কর্পোরেট ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ৪৭৫.৮০ কোটি টাকা দান করেছে বলে খবর।
এদিকে যে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলি দান করেছে তার মধ্য়ে সবথেকে বেশি হল মিত্তল নিপ্পন স্টিল ইন্ডিয়া। তারা দিয়েছে ৭০ কোটি টাকা। মিত্তল ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ার প্রাইভেট লিমিটেড দিয়েছে ৬০ কোটি টাকা। ভারতী এয়ারটেল দিয়েছে ৫১ কোটি টাকা।
সমস্ত ডোনেশনের মধ্যে ৮২.০৫ শতাংশ পেয়েছে বিজেপি।এদিকে এডিআরএর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬টি ইলেকটোরাল ট্রাস্টের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে কর ছাড়ের জন্য অথবা কালো টাকাকে সাদা করার জন্য সম্ভবত এই দান করা হয়েছে। সেকারণেই তারা পরিচয় গোপন করে গিয়েছে।
তবে এডিআর অনুরোধ করেছে যাতে সমস্ত সংস্থা যারা দান করছে তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করে। এতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজতর হবে।