চলন্ত ট্রেনের উপর ভেঙে পড়ল বৈদ্যুতিন পোস্ট। ঘটনায় বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা না ঘটলেও তিন জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া ট্রেনের ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের রায়পুরের কাছে। ১৮০৩০ শালিমার-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের ওপর বৈদ্যুতিন পোস্ট ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে এক জন হল শিশু। ঘটনায় ছত্তিশগড় স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের (সিএসইবি) বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যাপক আলোড়ন ছড়াল, গাজীপুরে পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত
জানা যাচ্ছে, সিএসইবি-এর এক ঠিকাদার শ্রমিকদের রেললাইনের নিচে ড্রিল করতে বলেছিলেন। যদিও এভাবে রেল লাইনের নিচে খোঁড়ার অনুমতি ছিল না বলে জানিয়েছে সিএসইবি কর্তৃপক্ষ। তবে খোঁড়ার ফলে বৈদ্যুতিন পোস্ট দুর্বল হয়ে যায়। আর ট্রেন আসা মাত্রই কম্পনে পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে উরকুরা স্টেশনের কাছে। বৈদ্যুতিন খুঁটি ট্রেনের একটি এসি কোচের জানালার উপর পড়ে যায়। এরফলে জলানার কাচ ভেঙে যায়। সেখানে থাকা তিনজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের নাম হল সৌম্য মণ্ডল।
এই ঘটনার পরেই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন রেলের কর্মকর্তারা। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,রায়পুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। সকলেই সঙ্কটমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: রেললাইনে পড়ে গিয়েছিল হেডফোন, খুঁজতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু কোলাঘাটের ২ বন্ধুর
এদিকে, দুর্ঘটনার পর শালিমার এক্সপ্রেস প্রায় এক ঘণ্টা ধরে রায়পুরে আটকে থাকে। পাশাপাশি ওই লাইনে অন্য ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও রেলের দাবি, এখানে তাদের কোনও গাফিলতি ছিল না। এর জন্য সিএসইবির ওপর দায় চাপিয়েছে রেল। পালটা সিএসইবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর কে শুক্লা জানান, এক ঠিকাদারকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কাজ শুরু করার আগে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। তবে রেল লাইনের নিচ দিয়ে খোঁড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।