এক মাসে বিদ্যুতের বিল এল ৩,৪০০ কোটি টাকা। যা দেখে বাড়ির কর্তা এতটাই ঘাবড়ে যান যে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশের সেই ঘটনায় এক কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে এক কর্মীকে এবং এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ নোটিশ ধরানো হয়েছে।
সম্প্রতি গোয়ালিয়রের শিববিহার কলোনির বাসিন্দা রাজেন্দ্রপ্রসাদ গুপ্তার ফোনে বিদ্যুতের বিলের মেসেজ আসে। তা দেখে হতবাক হয়ে যান রাজেন্দ্র। বিলের অঙ্কটা দেখায় ৩৪১৯৫৩২৫৯৩ টাকা। না, ভুল দেখছেন না (আপনি)। সেটাই এসেছিল।
আরও পড়ুন: Optical Illusion: এই ছবিতে আছে দ্বিতীয় একটি বাঘ! সেই ‘লুকিয়ে থাকা’ বাঘটিকে দেখতে পাচ্ছেন নাকি
সেই অঙ্ক দেখে রাজেন্দ্র এতটাই চমকে যান যে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। তাঁর রক্তচাপ বেড়ে যায়। রাজেন্দ্রের মেয়ে প্রিয়াঙ্কাও অসুস্থ বোধ করছেন। রাজেন্দ্রর জামাই বলেছেন, 'আমার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা গুপ্তার নামে বাড়ির মিটার আছে। বিল দেখে আমার স্ত্রী এবং শ্বশুরের রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করতে হয়।'
আরও পড়ুন: Electricity Rate Slashed: কমে গেল বিদ্যুতের দাম, আমজনতাকে স্বস্তি দিল এই রাজ্য, দেখে নিন নয়া দর
বিষয়টি সামনে আসার পর মধ্যপ্রদেশের শক্তি মন্ত্রী প্রদ্যুতমান সিং তোমর জানান, মিটার রিডিংয়ের পর কত টাকা বিল এসেছে, সেটা না বসিয়ে বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীরা সার্ভিস নম্বর বসিয়ে দেন। সার্ভিস নম্বর স্বভাবতই বড় হয়। তিনি বলেন, 'তারপর সেই (উদ্ভট) বিলে দেওয়া হয়। এখন বাড়িটির বিদ্যুতের বিল কমিয়ে ১,৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এক কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।'