সংকট এমন জায়গায় যাচ্ছে যে এবার বিদ্য়ুৎ পরিষেবাতেও রেশনিং করতে বাধ্য হচ্ছে চিন। পরিস্থিতি এতটাই বিগড়েছে যে বিদ্যুতের অভাবে কারখানা, শপিং মলও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতেও বিদ্যুৎ পরিষেবাতে রেশনিং করার কথা বলা হয়েছে।এদিকে শীতের আগে এই বিদ্যুৎ ঘাটতির জেরে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। কিন্তু কেন আচমকা এই পরিস্থিতি?
সূত্রের খবর, কয়লা সরবরাহে ঘাটতির কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়েছে। এটাকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির বড় কারন হিসাবে ধরা হচ্ছে। এদিকে চিনের স্টেট মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে বিদ্যুৎ পরিষেবায় এই ঘাটতির জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। দীর্ঘ শীতে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না বাসিন্দারা। মূলত উত্তর পূর্ব চিনের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।এটা অপ্রত্যাশিত ও আগাম আঁচ করা যায়নি বলেও স্টেট মিডিয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই উত্তর ও উত্তরপূর্ব চিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এরমধ্যেই নর্থ ইস্ট চিনের বিভিন্ন জায়গায় দিনের ব্যস্ততম সময়েও বিদ্যুতের টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে। গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস গ্রুপ নমুরার তরফে জানানো হয়েছে,বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্থিক ও উৎপাদনকারী দেশে এভাবে বিদ্যুতের ঘাটতির জেরে আন্তর্জাতিক বাজারেও বড় প্রভাব পড়তে পারে। জামাকাপড়, খেলনা, যন্ত্রাংশ আমদানিতেও বড়সর ধাক্কা খাবে।