ভারতের মতো বাংলাদেশেও রথযাত্রাকে ঘিরে যথেষ্ট উৎসাহ থাকে ভক্তদের মধ্যে। তবে এবার বাংলাদেশের সেই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে একেবারে ভয়াবহ ঘটনা হয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশের বগুড়ায় রথযাত্রার অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেই সময় আচমকাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ৫জন। মৃতদের মধ্য়ে মহিলা রয়েছেন ৩জন ও পুরুষ রয়েছেন ২জন।
কীভাবে এই ভয়াবহ ঘটনা হল বাংলাদেশে?
বগুড়ায় সেউজবাড়ি ইসকন মন্দির থেকে বিকেল ৫টায় রথযাত্রাটি বের হয়েছিল। পথে পড়ে আমতলা মোড়। সেখানে রথের চূড়াটি রাস্তার উপরে থাকা হাইভোল্টেজ তারের সঙ্গে ঠেকে যায়। এদিকে রথের মাথার কিছুটা অংশ ছিল স্টিলের। সেটার সঙ্গে বিদ্যুতের তারের স্পর্শ হতেই তারে আগুন লেগে যায়। এদিকে তার জেরে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে পড়েন। রথেই চেপে ছিলেন তাঁরা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হন তাঁরা। রথ থেকে ছিটকে তাঁরা পড়ে যান।
আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কয়েকজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে এই দুর্ঘটনায় কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের স্থানীয় হাসপাাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে রথের আনন্দে মাতোয়ারা ছিল বাংলাদেশের একাধিক এলাকা। তার মধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই বাসিন্দাদের মধ্য়ে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশ কোনওরকমে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই ঘটনায় অন্তত ২৫জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হল অলোক সরকার, আতশী রানী, রঞ্জিতা মোহন্ত, নরেশ মোহন্ত। অপর এক মৃত মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ইসকন মন্দির থেকে রথটি বের হয়েছিল। এরপর সেটা মাত্র ১০ মিনিট পথ অতিক্রম করেছিল। তারপরই তার চূড়ায় বিদ্যুতের তারের স্পর্শ লাগে। তারপরই সেই বিদ্যুতের তারের স্পর্শে একের পর এক ভক্ত ছিটকে পড়েন।
সেই রথযাত্রায় যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্য়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বাংলাদেশে। অনেকেই হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন। রথের উপরে অনেকে বসেছিলেন। তারা নীচে পড়ে যান। কয়েকজন ছিটকে পড়ে যান। পুলিশ গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।