উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন রিজিয়নের লালকুয়া-কাশীপুর সেকশনে ট্রেনের ধাক্কায় মা হাতি ও তার বাচ্চার মৃ্ত্যু। এদিকে তারপরই হাতির দল রেললাইনের উপর কার্যত অবরোধ করে দেয়। এর জেরে রেল চলাচলে মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটে। রেললাইন পুরোপুরি অবরোধমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রেল চলাচল বন্ধ ছিল। প্রচুর প্য়াসেঞ্জারকে গাড়িতে, বাসে অন্য স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয়। বনদফতরের রেঞ্জার হরিশ পাণ্ডে বলেন, একটি প্রাপ্ত বয়স্ক হাতি ও তার বাচ্চা মৃত অবস্থায় রেললাইনে পড়েছিল। এদিকে হাতির দলও রেললাইনের উপর জড়ো হয়ে যায়। আমরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। তারপর হাতিগুলিতে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রামনগর থেকে লালকুয়াগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হাতির দল রেললাইন পার হচ্ছিল। সেই সময়ই ট্রেনের ধাক্কায় দুটি হাতির মৃত্যু হয়। এরপরই হাতির দল অত্যন্ত রেগে গিয়ে দেহ দুটিকে আগলে রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে।
রেল দফতর জানিয়েছে, ওই রুটে দীর্ঘক্ষণ রেল চলাচল বন্ধ ছিল। অধিকাংশ ট্রেনকে অন্য় রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ধরনের পরিস্থিতি ছিল। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাতির দল কতক্ষণে শান্ত হয় সেজন্যই সরকারি আধিকারিকরা অপেক্ষা করছিলেন। এদিকে বনদফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মা হাতিটির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর ও বাচ্চা হাতিটির বয়স আনুমানিক ২- ৩ মাস। দুটি হাতির দেহকেই রেললাইন থেকে সরানো হয়েছে। পরিবেশবিদ এজি আনসারি বলেন, হাতিদের আগাম সতর্ক করা ও এই রুটে রেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।