স্বস্তি পেলেন ভারতের পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি৷ ডমিনিকা তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি অনুপ্রেশের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আপাতত কিছুটা হলেও আইনি জটিলতা থেকে রেহাই পেলেন চোকসি৷ গত বছর ২৩ মে অ্যান্টিগার জলি হারবার থেকে হঠাৎ উধাও হয়েছিলেন পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি৷ এরপর তাঁকে অপর এক ক্যারিবিয়ান দ্বীপ ডমিনিকার উপকূলে খুঁজে পাওয়া যায়৷ এরপর বেআইনি ভাবে দ্বীপে প্রবেশ করার অভিযোগে মেহুলকে গ্রেফতার করে ডমিনিকার পুলিশ৷ শুক্রবার সেই মামলা খারিজ করে ডমিনিকা সরকার।
ডমিনিকার আদালতের রায়দানের পর মেহুল একটি বিবৃতিতে জানান যে তিনি এই সিদ্ধান্তে খুবই খুশি৷ বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারত সরকারের কয়েকজন 'এজেন্ট' জোর করে তাঁকে নৌকায় তুলে ডমিনিকায় নিয়ে আসে৷ তারপর ষড়যন্ত্র করে তাঁকে অপরাধমূলক কাজের জন্য কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ আরও অভিযোগ, মেহুলের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ চোক্সি আশা ব্যক্ত করেন গতবছর ২৩ মে তাঁকে যাঁরা অপহরণ করে এনেছিলেন, তাঁদের বিচার হবে৷ জানা গিয়েছে, অ্যান্টিগার পুলিশের তদন্তেও উঠে এসেছে যে চোকসিকে নাকি অপহরণ কার হয়েছিল। এবং সেই তদন্তের ভিত্তিতে ডমিনিকার আদালত মেহুলের বিরুদ্ধে মামলা খারিজের ঘোষণা করেছে।
প্রসঙ্গত, অ্যান্টিগা থেকে ডমিনিকা প্রবেশের পথে মেহুল চোক্সি টুকারি নদীপথ দিয়ে এসেছিলেন৷ তাতেই আপত্তি ছিল ডমিনিকা সরকারের৷ কারণ এই পথ দিয়ে প্রবেশ করলে তা বেআইনি বলে ধরা হয়৷ এর আগে এই মামলায় মেহুলকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন দিয়েছিল ডমিনিকার হাইকোর্ট৷ এবার তাঁকে বেকসুর খালাস করা হল। উল্লেখ্য, ৬২ বছরের পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত৷ ডমিনিকার আদালতে মেহুলকে তোলা হলে ভারত থেকে সিবিআই দল আইনজীবীদের নিয়ে গিয়ে মেহুলের প্রত্যার্পণের আপ্রানণ চেষ্টা করেন।