অনধিকার সত্ত্বেও পেন্টাগনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন পরিকল্পনার বিষয়ে নাকি জানতে পারছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিলিয়নেয়ার বন্ধু ইলন মাস্ক। সম্প্রতি এমনই দাবি করা হয়েছে নিউইর্ক টাইমসের রিপোর্টে। সেই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, চিনের সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধ হলে কী রণনীতি হবে, সেই বিষয়ে নাকি মাস্ককে জানাতে বলা হয়েছে পেন্টাগনকে। ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির প্রধানের নাকি পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা বিভাগের কার্যালয়ে যাওয়ার কথা ২১ মার্চ। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এহেন দাবি খারিজ করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: ইউনুসের বক্তব্যে না-খুশ, রাত ২টোয় উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফিরল অগস্টের স্মৃতি)
আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীতের 'অপমান' করার অভিযোগ নীতীশের বিরুদ্ধে, সামনে এল ভিডিয়ো, তোপ RJD-র
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়িতে মিলল টাকার পাহাড়, তড়িঘড়ি ডাকা হল কলেজিয়ামের বৈঠক
প্রতিরক্ষা প্রধান পিট হেগসেথ নিশ্চিত করেছেন যে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা শুক্রবার ইলনের সঙ্গে 'উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং স্মার্ট উৎপাপাদন' নিয়ে আলোচনা করবেন। এই আবহে নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট ঘিরে ল্পনা তৈরি হয়। তবে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, 'চিনের নাম একবারের জন্যেও উল্লেখ করা হবে না বা আলোচনাও করা হবে না সেই বৈঠকে।' এদিকে পিট গেগসেথও দাবি করেন, ইলন মাস্কের পেন্টাগনের সফর নিয়ে ভুয়ো খবর প্রকাশিত করা হয়েছে। পিট সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'এই বৈঠক টপ সিক্রেট চিন যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্যে নয়।' (আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘকে তোপ দেগেছিলেন জয়শংকর, তা নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান)
এর আগে এনওয়াইটি-র প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চিনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে গোপন ব্রিফিংয়ে ২০ থেকে ৩০টি স্লাইড দেখানো হবে ইলন মাস্ককে। সেই সব স্লাইডে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হলে আমেরিকার পরিকল্পনা দেখানো হবে। এ সময় চিনের কোন ঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে দাবি করা হয়। কোন সময়সীমার মধ্যে চিনের ঘাঁটিগুলিকে টার্গেট করতে হবে, তাও মাস্ককে জানানো হবে বলে দাবি করা হয়। (আরও পড়ুন: কপাল পড়ুল অগ্নিকাণ্ডে? ঘর থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়, কে এই হাইকোর্টের বিচারপতি?)
এদিকে পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র শন পার্নেল বলেন, 'ইলন মাস্ককে শুক্রবার পেন্টাগনে স্বাগত জানাতে পেরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উচ্ছ্বসিত। সেক্রেটারি হেগসেথ তাঁকে আমন্ত্রণ জানাবেন এবং তিনি শুধুমাত্র এখানে বেড়াতে আসছেন।' প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনে নিজের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইলন মাস্ক। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে সরকারের খরচ কমানোর প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। এই আবহে ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'এটা কত লজ্জাজনক যে বিশ্বাসযোগ্যা হারানো মিডিয়া এ ধরনের মিথ্যাচার করতে পারে। যাই হোক, গল্পটি সম্পূর্ণ অসত্য!'