বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি তিনি। ফলে তাঁর মোট সম্পত্তির ওঠানামাও যে অকল্পনীয় স্তরে হবে, তা ধরে নেওয়াই যায়। তাই বলে ২ দিনের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার? তাও আবার খামখেয়ালি টুইটের জেরে?
টেসলা ইনকর্পোরেটেড-এর শেয়ার পরপর দ্বিতীয় দিনের জন্য নিম্নগামী হয়েছে। এর জেরে চলতি সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ কমেছে ইলন মাস্কের।
গত সপ্তাহান্তে ইলন মাস্ক তাঁর টুইটার অনুগামীদের জিজ্ঞাসা করেন, কর দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর সংস্থায় তাঁর ১০% শেয়ার বিক্রি করা উচিত কি না। অন্যদিকে দেখা যায়, এই টুইটের কিছুক্ষণ আগেই ইলন মাস্কের ভাই কিম্বল টেসলার কিছু শেয়ার বিক্রি করেছেন।
পুরো ব্যাপার দেখে ঘাবড়ে যান বিনিয়োগকারীরা। সোমবার পড়তে থাকে শেয়ারদর। তার পরে তাঁর ভাই কিম্বল ভোটের ঠিক আগে শেয়ার বিক্রি করে বলে খবর আসে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা মঙ্গলবার সকালে ইনসাইডারে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে বিখ্যাত বিনিয়োগকারী মাইকেল বারি জানান, মাস্ক তাঁর ব্যক্তিগত ঋণ মেটাতে শেয়ার বিক্রি করতে চাইতে পারেন। এর ফলে আরও দ্রুত পড়তে থাকে টেসলার শেয়ার দর।
তবে এই প্রথম টুইট-গেরোয় পড়লেন না ইলন। এর আগেও খামখেয়ালি টুইটের খেসারত দিতে হয়েছে টেসলার শেয়ার বাজারে। বছর কয়েক আগে ১ এপ্রিল টুইট করে নিজের সমস্ত শেয়ার বেচে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার দর পড়ে যায়। কিন্তু পরে মাস্ক টুইট করে বলেন, এপ্রিল ফুলের প্র্যাঙ্ক ছিল। এমন কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। এর পর থেকেই টেসলার পরিচালন কমিটি মাস্কের সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা করেন। পরবর্তীকালে তিনি টুইট করার আগে এক কমিটি তা যাচাই করবেন বলেও কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। তবে সেটা যে বাস্তবায়িত হয়নি, তা বলাই বাহুল্য। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের ইতিহাসে এটি দুই দিনের মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্পদ হ্রাসের ঘটনা।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল আমাজন-ব্লু অরিজিন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের। ২০১৯ সালে ম্যাকেঞ্জি স্কটের বিবাহবিচ্ছেদের পরে জেফ বেজোসের সংস্থার শেয়ার বাজারে দর কমে যায়। এক ধাক্কায় ৩৬ মার্কিন ডলার সম্পদ কমে তাঁর।