সদ্য সমাপ্ত মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে ময়দানে নেমেছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জনসভায় ট্রাম্পের হয়ে সুর চড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সেই নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। মাস্কের সমর্থন পাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন। আর এবার ইলন মাস্ক পড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে নিয়ে। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ জার্মান রাজনীতি নিয়ে একটি পোস্ট নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছিলেন ইলন মাস্ক। সেখানেই এক ব্যক্তি কানাডা নিয়ে মাস্কের 'সাহায্য' চান। আর তাতেই মাস্ক পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, 'ট্রুডো হেরে যাবেন।' (আরও পড়ুন: 'গণতন্ত্রে জনগণের ইচ্ছাই…', কমলার হারের পর বললেন বাইডেন, ফোন ট্রাম্পকে)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের জয়ে প্রমাণিত রাজনীতিতে বয়স কোনও বিষয় নয়, বললেন কল্যাণ; অভিষেকের জবাব…
উল্লেখ্য, পিটার সুইডেন নামক এক সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, 'বিশাল বড় খবর। জার্মানির সমাজতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটেছে। এখন সেখানে স্ন্যাপ নির্বাচনের কথাবার্তা চলছে।' সেই পোস্টটি শেয়ার করে ইলন মাস্ক লেখেন, 'ওলাফ একটা বোকা।' সেই পোস্টে আবার রবার্ট রনিং নামক এক ব্যবসায়ী কমেন্ট করেন, কানাডায় জাস্টিন ট্রুডোকে সরাতে তোমার সাহায্য চাই ইলন মাস্ক। রবার্টের সেই কমেন্টের জবাবেই ইলন মাস্ক লেখেন, 'আসন্ন নির্বাচনে ও (জাস্টিন ট্রুডো) হেরে যাবে।' (আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হিন্দুদের বাড়িতে বাহিনীর হামলার অভিযোগ,বাংলাদেশকে কড়া বার্তা ভারতের)
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে কানাডায় ক্ষমতায় আছে জাস্টিন ট্রুডোর লিবেরাল পার্টি। বর্তমানে তাঁর সরকারের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতাও নেই। আসন্ন নির্বাচনে ট্রুডোর মূল প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ পার্টি। এছাড়াও জগমিৎ সিংয়ের নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও এই নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে বলে মত বিশ্লেষকদের। এছাড়া গ্রিন পার্টি এবং ব্লক কুইবেকসও কিছু আসন দখল করতে পারে। এদিকে কানাডায় ক্রমেই সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রুডো। এমনকী দলেও চাপের মুখে আছেন ট্রুডো। অপরদিকে এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পায়ের তলার জমি আরও শক্ত হচ্ছে। এদিকে মার্কিন মুলুকেও উদারপন্থী ডেমোক্র্যাটদের হার এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকানদের জয়ের 'প্রভাব' পড়তে পারে সীমান্ত পার কানাডায়। উল্লেখ্য, কানাডাতেও অভিভাসন একটি বড় ইস্যু। সেই প্রায় একই ইস্যুতে আমেরিকাতে নির্বাচন লড়েছিলেন ট্রাম্প।
এই নিয়ে পিপলস পার্টি অফ কানাডার প্রধান ম্যাক্সিম বার্নিয়ার সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, 'সীমান্তের দক্ষিণে রিপাবলিকানদের জয় দেখা গিয়েছে। এবার কানাডারও উচিত কর কমানো, আমলাতন্ত্রের জাল কেটে ছোট করা, দামী এবং অকর্যকর জলবায়ু নীতিত্যাগ করা, লাগামহীন অভিবাসন বন্ধ করা, ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। তা না হলে আমাদের পিছনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যাবে আমেরিকা। আর আমাদের উজ্জ্বল মস্তিষ্করা সীমান্ত পার চলে যাবে। বিনিয়োগও আমেরিকায় চলে যাবে। আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিংয়ের পতন ঘটবে।'