প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কী বাত। ১০০ পর্বকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা উদ্যোগ। বাংলা থেকে ১৬জনেরও বেশি বিশিষ্টজনেরা ডাক পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে। বাংলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বিশিষ্ট জনেরা যাবেন সেই অনুষ্ঠানে। কে নেই সেই তালিকায়। প্রত্যেকেই নিজের নিজের ক্ষেত্রে কার্যত দিকপাল। সমাজের প্রতি তাঁদের সেই অবদানকে স্মরণ করা হবে মোদীর সেই অনুষ্ঠানে। বাংলার সেই বিশিষ্টজনেরা মোদীর কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি।
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অভয় গুপ্ত, ডায়েটিশিয়ান স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সরোদ বাদক অতীশ মুখোপাধ্যায়, ব্যবসায়ী মহেন্দ্র কুমার দাগা,মালায়লম সিনেমার অভিনেত্রী অপর্না দাস, বৈদিক গণিতের পণ্ডিত গৌরব টেকরিয়াল সহ অনেকেই আমন্ত্রিক মোদীর অনুষ্ঠানে।
২০১৮ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন সুভাষিণী মিস্ত্রি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাঁসপুকুর গ্রামে তিনি থাকেন। সবজি বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি দাতব্য চিকিৎসালয় চালান। তিনিও আমন্ত্রিত মোদীর অনুষ্ঠানে। জীবনের চলার পথে নানা বিষয়গুলি তাঁরা ভাগ করে নেবেন গোটা দেশের মানুষের সঙ্গে।
অন্যদিকে পুরুলিয়ার সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রীপতি টুডুও আমন্ত্রিত মোদীর মন কী বাত অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি মনের কথা খুলে বলবেন। শ্রীপতি টুডু সাঁওতালি ভাষায় সংবিধান অনুবাদ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর আগেই তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। এবার একেবারে মোদীর অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন তিনি।
সূত্রের খবর., অলচিকি হরফে তিনি এই সংবিধান অনুবাদ করেছেন। এটা সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করা একমাত্র সংবিধান। দীর্ঘ লকডাউনের সময় তিনি এই কাজ হাতে তুলে নেন। এরপর ধাপে ধাপে সেই কাজ হয়েছে। এর আগে মন কী বাত অনুষ্ঠানে মোদী নিজেও এই কাজের প্রশংসা করেছিলেন। এবার একেবারে অধ্যাপকের ঠিকানায় এসেছে দিল্লি থেকে আমন্ত্রণ। তবে এভাবে কাজের স্বীকৃতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংবিধানে বর্ণিত অধিকারগুলি যাতে আমাদের সমাজের মানুষ পড়তে পারেন সেই লক্ষ্যেই সংবিধান অনুবাদে কাজ শুরু করেছিলাম।
১০০ তম পর্বে পা দিতে চলেছে মোদীর মন কী বাত। বাংলা থেকে বিশিষ্টজনেরা এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত। কেউ সংবিধান অনুবাদ করেছেন, কেউ আবার ট্যাক্সি চালিয়ে, স্ত্রীর গহনা বেচে তৈরি করেছেন হাসপাতাল। নিজেরা কষ্টে থেকে সমাজের পাশে থাকার প্রচেষ্টা। সেই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।