এনামুল হককে গরু পাচারকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজই দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালতে তোলা হবে এনামুলকে। আদালতে পেশ করে ইডি এনামুলকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এনামুলকে হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি গরু পাচার কাণ্ডে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকে। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দেব সাংবাদিকদের জানান, এনামুলকে তিনি চেনেন না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুলের কাছ থেকে দেব নাকি কিছু দামী জিনিস ও ঘড়ি উপহার নিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, দেবকে এই বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা প্রশ্ন করেন। এনামুলের সঙ্গে দেবের কতদিনের আলাপ, কার মাধ্যমে এনামুলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হন, তিনি কোনও উপহার নিয়েছিলেন কিনা, এই সব কিছু প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু দেব স্পষ্টই জানিয়ে দেন, তিনি এনামুলকে চেনেন না।
উল্লেখ্য, এই মামলায় সিবিআইয়ের দাবি, সীমান্তে বিএসএফের আটক করা গরু কাটমানি দিয়ে ছাড়িয়ে ফের বাংলাদেশে পাচার করত এনামুল। বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে গরুপিছু ২,০০০ টাকা করে দিত এনামুল। এছাড়া কাস্টমস আধিকারিকদের দেওয়া হত ৫০০ টাকা করে। কলকাতায় নিজের কোম্পানিতে সতীশ কুমারের ছেলে ভুবন ভাস্করকে ৩০,০০০ টাকা মাস মাইনের চাকরিও দিয়েছিল এনামুল।
এর আগে তদন্তে নেমে এনামুল হকের একাধিক আস্তানায় হানা দিয়ে যেসব নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে রাজ্যের বহু থানার অফিসার–ইনচার্জের নাম পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল সিবিআই সূত্রে। সেই মতো বহু পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, চালকল, আবাসন ও নির্মাণ শিল্প, পাথর খাদান, বালির কারবার-সহ একাধিক কারবারে সঙ্গে যুক্ত এনামুল।