বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > সবার অনুভূতির কথা ভেবেই নিয়ম মেনে বাদ মহাশ্বেতা দেবীর গল্প: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

সবার অনুভূতির কথা ভেবেই নিয়ম মেনে বাদ মহাশ্বেতা দেবীর গল্প: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

ফাইল ছবি : টুইটার ও হিন্দুস্তান টাইমস  (Twitter, Illustration: Unnikrishnan/HT)

মহাশ্বেতা দেবী ও দুই দলিত লেখকের রচনা পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে এমনটাই জানাল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সবকিছুই আলোচনা করে, নিয়মমাফিক করা হয়েছে। মহাশ্বেতা দেবী ও দুই দলিত লেখকের রচনা পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে এমনটাই জানাল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

দলিত-বিষয়ক লেখাগুলিই বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে, দাবি তুলেছেন অধ্যাপকদের একাংশ। সেটিও 'ভিত্তিহীন' বলে পাল্টা দাবি কর্তৃপক্ষের। উল্টে বলা হচ্ছে, 'কোনও সাহিত্য রচনা যাতে কোনও গোষ্ঠীরই অনুভূতিতে আঘাত না করে, সে কথা ভেবেই এই বদল করা হয়েছে।'

'সিলেবাসের বিষয়বস্তু ইংরাজী ডিপার্টমেন্ট সাজিয়েছে। সেখান থেকেই এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে,' প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানালেন রেজিস্ট্রার বিকাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধান কমিটি বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা এবং সুপারিশের পরেই পাঠ্যক্রমটি চূড়ান্ত করেছে।

বাদ গিয়েছে দলিত-নিগ্রহ নিয়ে লেখা মহাশ্বেতা দেবীর ছোটগল্প ‘দ্রৌপদী’। ১৯৯৯ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি সাহিত্য অনার্সের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত ছিল এটি। কর্তৃপক্ষের দাবি, 'আগে এবং এখনকার সময়ে, কোনও লেখা যাতে কারও আবেগে আঘাত না করে, সেই দিকে নজর রেখেই পাঠ্যক্রমে বদল করা হয়েছে।'

একইভাবে দুই দলিত লেখক বামা আর সুকর্তারিণীর লেখাও বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটিই বর্তমানে সামাজিক প্রেক্ষাপটেও বেশ প্রাসঙ্গিক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কাউন্সিলের ১৫ জন সদস্য ওভারসাইট কমিটির বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ পত্র জমা দেন।

বন্ধ করুন