দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ ছাড়পত্রের কড়াকড়ি শিথিল করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। বিশেষ করে সীমান্তরবর্তী যেসব হাইওয়ে প্রকল্প দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে কৌশলগত ভাবে প্রয়োজনীয়, সেই সব প্রকল্পে আগাম পিরবেশগত ছাড়পত্র নিতে হবে না। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশ প্রেমীরা।
১১ এপ্রিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে৷ যাতে লেখা, সীমানার কাছাকাছি কিছু হাইওয়ে প্রকল্প প্রকৃতিতে সংবেদনশীল এবং তাই এই সব ক্ষেত্রে পরিবেশ ছাড়পত্র চাওয়ার প্রয়োজনীয়তা থেকে এগুলিকে অব্যাহতি দেওয়া দরকার। পরিবর্তে, প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকেই নিজের থেকে পরিবেশগত সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি নির্ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
এদিকে ২৫ মেগাওয়াট উত্পাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও এই বিধিনিষেধ শিথিলের কথা বলা হয়েছে খসড়া বিজ্ঞপ্তিতে। এর আগে চারধাম প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্তকারী রাস্তাগুলি চওড়া করার পরিকল্পনায় সবুজ সংকেত দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যুক্তি ছিল, এই সড়ক সম্প্রসারণ দেশের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এরপরই বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, সূর্যকান্ত ও বিক্রম নাথের বেঞ্চ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের যুক্তি মেনে সড়ক সম্প্রসারণের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। আদালত জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এই আবেদনের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। কীভাবে সশস্ত্র বাহিনীকে পরিচালনা করবে সেটা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের উপর নির্ভর করে। উল্লেখ্য, রাস্তা সম্প্রসারণ করতে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করা হচ্ছে বলে আদালতে নালিশ জানিয়েছিল একাধিক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। সেই অভিযোগগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হলেও দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়ক সম্প্রসারণে সায় ছিল শীর্ষ আদালতের।