সম্প্রতি ইপিএফ-এর সুদের হার কমেছে। ৮.৫ শতাংশ থেকে চলতি অর্থবর্ষের জন্য সুদের হার হয়েছে ৮.১ শতাংশ। চাকরিজীবীদের এর জেরে মাথায় হাত। এই আবহে এবার সংসদে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী সংসদে এই বিষয়ের আলোচনার জবাবে বলেন যে ইপিএফও কেন্দ্রীয় বোর্ড প্রভিডেন্ট ফান্ড আমানতের সুদের হার নির্ধারণ করে এবং বোর্ড নিজেই পিএফ হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে। এই বয়ানের পর কার্যত সরকারের উপর থেকে এর দায় পুরোপুরি ঝেড়ে ফেললেন নির্মলা সীতারমন।
অর্থমন্ত্রী এদিন সংসদে বলেন, ‘ইপিএফও-র একটি কেন্দ্রীয় বোর্ড রয়েছে যা সুদের হার নির্ধারণ করে এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে এটি পরিবর্তন করেনি। এখন তা ৮.১ শতাংশে পরিবর্তন করা হয়েছে।’ অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে EPFO সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (৭.৬ শতাংশ), সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (৭.৪ শতাংশ) এবং PPF (৭.১ শতাংশ) সহ অন্যান্য প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অনেক কম। সেখানে ইপিএফওতে সুদের হার ৮.১ শতাংশ রাখার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের গলাতেও এই একই সুর শোনা গিয়েছিল। ইপিএফও-র সুদের হার ঘোষণা করা হলে ভূপেন্দ্র যাদব বলেছিলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য ইপিএফ সঞ্চয়ের উপর ৮.১ শতাংশ সুদের হার ঘোষণা করতে ভালো লাগছে। যখন এসবিআই-এর ১০ বছরের ফিক্সড ডিপোজিট প্রায় ৫.৪ শতাংশ সুদ দিচ্ছে, যখন পিপিএফ-এর মতো সঞ্চয় স্কিমগুলিতে রিটার্ন ৬.৮ শতাংশ থেকে ৭.১ শতাংশ। সেখানে ইফিএফ-এর সুদের হার এদের থেকে বেশি।’