ইপিএফও নিয়ে বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। ৩ জানুয়ারির সেই ঘোষণায় জানানো হল, দেশজুড়ে ১ তারিখ থেকেই চালু করা হয়েছে সেন্ট্রালাইজড পেনশন পেমেন্টস সিস্টেম। এর ফলে উপকৃত হবেন ১৯৯৫ সালের এমপ্লিজ পেনশ স্কিমের আওতায় থাকা ইপিএফও গ্রাহকরা। নয়া নিয়মে, দেশের যেকোনও ব্যাঙ্ক থেকে পেনশন তুলতে পারবেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের গ্রাহকরা। সেই টাকা তোলার সময় আলাদা করে তথ্য যাচাইয়ের নথি জমা করতে হবে না বলেও জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। এই আবহে ইপিএফও-র পেনশনের টাকা তোলার ক্ষেত্রে জটিলতা অনেকটাই কমে গেল। (আরও পড়ুন: প্রয়াত পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষার 'মাথা', শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর)
আরও পড়ুন: ইউনিয়ন কার্বাইডের বর্জ্যের 'আতঙ্কে কাঁপছে' পিথমপুর, গায়ে আগুন ২ প্রতিবাদীর
আরও পড়ুন: সোমে বৈঠক,ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপের করিডর চালু নিয়ে ডোভালকে বলবেন US NSA
গত বছর পাইলট পর্বে দুটি পরীক্ষার পর শ্রম মন্ত্রক এই বছের ১ জানুয়ারি থেকে ইপিএফও-র সমস্ত ১২২টি আঞ্চলিক অফিসেই সেন্ট্রালাইজড পেনশন পেমেন্টস সিস্টেম চালু করেছে। এই পদক্ষেপে ৭৮ লাখেরও বেশি কর্মচারী উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেছেন যে এই উদ্যোগ পেনশনভোগীদের দেশের যে কোনও ব্যাঙ্ক, যে কোনও শাখা থেকে নির্বিঘ্নে তাদের পেনশন অ্যাক্সেস করার ক্ষমতা দেয়। তিনি বলেন, 'এই নয়া সিস্টেম যাচাইকরণ পরিদর্শনের প্রয়োজনীয়তা দূর করে এবং পেনশন বিতরণ প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলেছে। সিপিপিএস-এর মাধ্যমে ইপিএফও পরিষেবাগুলির আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। এবং আমরা যে আমাদের পেনশনভোগীদের জন্য সুবিধা, স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তার একটি প্রমাণ হল এই সিপিপিএস। এই সিস্টেম চালুর মাধ্যমে আমরা একটি প্রযুক্তি-সক্ষম এবং সদস্য-কেন্দ্রিক ইপিএফও-এর নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছি।' এদিকে মনলুখ মাণ্ডব্য গত ২ জানুয়ারি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'খুব শীঘ্রই ইপিএফওর গ্রাহকদের এটিএম কার্ড বিলি করা হবে।' (আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে মিলল সশস্ত্র গোষ্ঠীর ক্যাম্প, তবে একজনকেও ধরতে পারল না বাংলাদেশি সেনা)
আরও পড়ুন: 'আল্লাহর আইন ছাড়া কিছু চলবে না', বাংলাদেশে সংবিধান বদলের জল্পনা বাড়াল জামাত
এদিকে শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ৬৮ লাখেরও বেশি ইপিএস পেনশনভোগীদের প্রায় ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা পেনশন বিতরণ করা হয়েছে। সেন্ট্রালাইজড পেনশন পেমেন্ট সিস্টেমের প্রথম পাইলট প্রোজেক্টটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে কার্নাল, জম্মু ও শ্রীনগরের আঞ্চলিক অফিসগুলিতে পরিচালনা করা হয়েছিল। সেখানে ৪৯ হাজারেরও বেশি ইপিএস পেনশনভোগীদের প্রায় ১১ কোটি টাকা পেনশন বিতরণ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পাইলট পরীক্ষাটি ২০২৪ সালের নভেম্বরে ২৪টি আঞ্চলিক অফিসে পরিচালনা করা হয়েছিল। সেই সময় ৯.৩ লাখেরও বেশি পেনশনভোগীকে প্রায় ২১৩ কোটি টাকা পেনশন বিতরণ করা হয়েছিল।