এখন ঘরে বসে অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে নানা পরিষেবা। রান্না করা খাবার থেকে শুরু করে জীবনদায়ী ওষুধ, সবকিছুই এখন পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। এবার অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শও পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের উদ্যোগে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘ই-সঞ্জীবনী’ পরিষেবা। এমনটাই দাবি করল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ১ বছরে এক কোটিরও বেশি মানুষ এই ‘ই সঞ্জীবনী’ পরিষেবা নিয়েছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার রোগী এই পরিষেবার মাধ্যমে চিকিৎসকদের পরামর্শ পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন। জাতীয় টেলিমেডিসিন পরিষেবা ই-সঞ্জীবনী দুটি পদ্ধতিতে কাজ করে। একটি পদ্ধতি হল আয়ুষ্মান ভারত রোগী কল্যাণ কেন্দ্র ও অন্যটি হল সঞ্জীবনী ওপিডি। গত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আয়ুষ্মান ভারত রোগী কল্যাণ কেন্দ্র চালু হয়। অন্ধ্রপ্রদেশই প্রথম রাজ্য যেখানে এই পরিষেবা চালু হয়েছিল। কর্মসূচি সূচনার সময় থেকে বিভিন্ন রাজ্যে ২ হাজারেরও বেশি হাব চালু হয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গ-সহ ন'টি রাজ্যে এই পরিষেবা চালু রয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৪৪টি টেলিমেডিসিন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিষেবার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানে ৩৭ লাখ ৪ হাজার ২৫৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সঞ্জীবনী ওপিডি পরিষেবার মাধ্যমে অনেক মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৫১ লাখেরও বেশি রোগী ই-সঞ্জীবনী ওপিডি থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরামর্শ পেয়েছেন। এইমস-সহ একাধিক কেন্দ্র থেকে এই পরিষেবা মানুষ পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল এই পরিষেবা চালুর ফলে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ফারাক অনেকটাই মেটানো সম্ভব হয়েছে। করোনা মোকাবিলার কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবার মাধ্যমে দৈনিক ৫ লাখ পরামর্শ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।