লকডাউনে কত টাকা মাইনে দেওয়া হবে, সেটা মালিক ও শ্রমিকদের নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে বলল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলল যে তাদের আগের অর্ডার যে টাকা দিতে না পারলে কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, সেটাও বলবত্ থাকবে। ২৯ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে নির্দেশ দিয়েছিল আবশ্যিক ভাবে মাইনে দেওয়ার, তার ওপরেই স্টে অর্ডার জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। জারি থাকবে সেই নির্দেশ।
এদিন বিচারপতি অশোক ভূষণ, সঞ্জয় কিশন কৌল ও এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করেন। তারপর বিচারপতি ভূষণ বলেন যে আবেদনকারীদের ওঠানো বিষয়গুলি নিয়ে এক সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আলাদা আলাদা করে হবে না। তারপর তিনি বলেন যে শ্রমিক ছাড়া কোনও শিল্প চলতে পারে না। নিজেদের মধ্যেই মধ্যস্থতা করে নেওয়া উচিত মালিক ও শ্রমিকদের বলে জানান তিনি। সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শ্রমদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ৫৪ দিনের লকডাউনে কতটা মাইনে দেওয়া যায়, সেই মধ্যস্থতার ভার কর্মী ও মালিক পক্ষের ওপরেই ছাড়ল শীর্ষ আদালত।
যেসব সংস্থায় লকডাউনে আংশিক কাজ হয়েছে, সেখানেও মধ্যস্থতা করা যেতে পারে বলে জানায় আদালত। একই সঙ্গে আদালত স্পষ্ট করে কেউ টাকা নিয়ে মধ্যস্থতা করা কালীন তার যেন কাজে যোগ দিতে অসুবিধা না হয়।
২৯ মার্চ যে নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দিয়েছিল যে পুরো মাইনে না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বেসরকারি সংস্থাদের বিরুদ্ধে, সেটির ভিত্তি কী, তা জানাতে হবে কেন্দ্রকে। এই মামলার ফের শুনানি হবে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে।