ইউক্রেনের আকাশে ঘুরফের করা রাশিয়ার আক্রমণের কালো মেঘে উদ্বেগে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবং এই আশঙ্কার বিষয়ে ভারতকে অবগত করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায় তাহলে তার অনেক পড়িণতি ভালো হবে না ভলেও ভারতকে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ভারতকে ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র ভেবেই ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত দিল্লির সাথে তথ্য বিনিময় করে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউক্রেনে উপনীত পরিস্থিতির বিষয়ে যাতে ভারতের ধারণা স্পষ্ট থাকে, তাই এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ভারতকে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এক ইইউ কর্তা। সাংবাদিকদের সেই কর্তা আরও জানান, রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা করলে কী কী পদক্ষেপ করা হবে তা NATO ও আমেরিকার মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে বসে ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলা হয়েছে।
ইইউ কর্তা বলেন, ‘ইউক্রেনে হামলা হলে তার ব্যাপক পরিণতি হবে। ইইউ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু একই সাথে আমরা সংলাপ এবং কূটনৈতিক সমাধানের সমস্ত উপায় খতিয়ে দেখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’ এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের থেকে ইইউ কী আশা করছে, এই প্রশ্নে অবশ্য নীরব থাকেন কর্তা। উল্লেখ্য, আগামীকালই মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে ইইউ-র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তার প্রধান জোসেফ বোরেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন জয়শঙ্কর। এই গোটা কনফারেন্সে ইউক্রেন ইস্যু ফোকাসে থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখনও কোনও শব্দ খরচ করেনি। যদিও ভারতের তরফে বলা হয়েছে যাতে এমন কোনও পদক্ষেপ কোনও দেশই না নেয় যাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়। ভারত কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যে সমস্যার সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছে। এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধের আশঙ্কা যে দিল্লির কাছে স্পষ্ট, তার প্রমাণ মিলেছে হেল্পলাইন চালু করার থেকেই। ইউক্রেনে বসাবসরত ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে তত্পরতা দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি বিমান পরিষেবা সংস্থার সাথে ভারত আলোচনা করছে ভারতীয়দের ফেরানোর জন্য।