বৃহস্পতিবারই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা হতে পারে। তার আগে রাষ্ট্রসংঘে এনিয়ে বৈঠক হয়েছে। রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার অপরাধে ইরানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জোসেপ বরেলের মুখপাত্র বুধবার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ এই নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ প্রকাশ করা হতে পারে।
সম্প্রতি ইউক্রেনেইরানের তৈরি ড্রোন পাওয়া গেছে। রাশিয়া ওই ড্রোনের সাহায্যে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। ইউক্রেন গুলি করা তা নামিয়েছে। ইরানে তৈরি শাহেদ-১৩৬ মডেলের ওই ড্রোন কীভাবে রাশিয়ার হাতে গেল সেইটেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি, ইরান রাশিয়াকে ওই ড্রোন সরবরাহ করেছে। ইরান অবশ্য এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। রাশিয়াকে কোনও অস্ত্রই তারা বেচেনি বলে বুধবার সরকারের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবারই ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং আমেরিকার আবেদনে ইরান নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে একটি উচ্চপর্যায়ের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ। বৃহস্পতিবার যা ঘোষণা করা হবে। ইউরোপ এবং আমেরিকার দাবি, জাতিসংঘের ২২৩১ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইরান রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে না। ২০১৫ সালে এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
ইরান আরও কিছু চুক্তিতে আবদ্ধ বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে বেশ কিছু চুক্তি ভেঙেও গিয়েছিল। তবে সার্বিকভাবে ইরান অস্ত্র বিক্রি করতে পারবে না বলে আগে থেকেই চুক্তিবদ্ধ। ইরান সেই নীতিই লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ। আর সে জন্যই তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হবে। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলির এখনও যথেষ্ট জটিলতা চলছে। ইরানের উপর আমেরিকার একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। এরপর ইইউ নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পরিকল্পনা করছে।