এ যেন একই দলের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ চলছে। সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে সেই ফাউলে জর্জরিত খেলা দেখছে প্রতিপক্ষ। উৎসাহ চেপে রেখে মাঝেমধ্যে ঘুরিয়ে এক পক্ষের হয়ে গলা ফাটাচ্ছে। উদ্দেশ্য, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে ক্লান্ত হয়ে যাক। তারপর খালি গোলে বল ঠেলে ম্যাচ জেতা যাবে।
কোনও ফুটবল দলের নয়, রাজস্থানে রাজনৈতিক সংকটের মাঝে ঠিক এমনই অবস্থান নিয়েছে বিজেপি। সচিন পাইলটকে উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর কংগ্রেসের ফাটল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। খাদের কিনারায় চলে যাওয়া কংগ্রেসের ‘দুর্বল’ সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেন, ‘এই সরকার নিয়ে মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। বিশ্বের কোনও শক্তি এই সরকারকে বাঁচাতে পারবে না। আমাদের অগ্রাধিকার হল, এই সরকার ক্ষমতা হারাক। আমরা সতর্ক আছি, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং কী পরিস্থিতি হয়, তার ভিত্তিতে আমাদের রণনীতি নির্ধারণ করব।’
যদিও কিছুটা নীতি নিয়ে এখনও সরাসরি আস্থাভোটের দাবি তুলছে না বিজেপি। দিল্লিতে এক বিজেপি নেতা জানান, যতক্ষণ না গেরুয়া শিবির নিশ্চিত হচ্ছে যে কংগ্রেস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, ততক্ষণ আস্থাভোটের দাবি জানানো হবে না। তবে কংগ্রেসের হাতে খুব একটা সমর্থনও নেই। মুখে ১০৯ জন বিধায়কের সমর্থন থাকার দাবি করলেও আদতে অশোক গেহলটের ঝুলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার (এক্ষেত্রে ১০১) থেকে খুব বেশি বিধায়ক নেই বলেই খবর। বিজেপির হাতে নিজেদের ৭২ জন বিধায়ক আছেন। পাশাপাশি আরও তিন বিধায়কেরও সমর্থন রয়েছে গেরুয়া শিবিরের দখলে।
তারইমধ্যে সরাসরি আস্থাভোটের পক্ষে সওয়াল না করলেও ঘুরিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের চাপ তৈরির কাজ সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। গুলাবচন্দ্র কাটারিয়া বলেন, ‘উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্তের ফলে রাজস্থানে কংগ্রেসের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন স্পষ্ট। এখন মুখ্যমন্ত্রী যদি মন্ত্রিসভা বাড়াতে চান, তাহলে বিধানসভায় প্রথমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা উচিত তাঁর। আস্থাভোট ছাড়া সেটা করলে (মন্ত্রিসভা বাড়ালে) ভালো বার্তা যাবে না।’