উত্তর কোরিয়ায় কিম জং উনের একনায়কতন্ত্রের অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে অনেকই উত্তর কোরিয়া থেকে 'ডিফেক্ট' করেন বা দেশ ত্যাগ করেন। সেই দেশত্যাগীদেরই একজন ইয়োনমি পার্ক। উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে এসে আামেরিকায় বসবাস শুরু করেন পার্ক। সেখানেই কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন পার্ক। সেই পার্কের মতে, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ক্যানসেল' সংস্কৃতি অনেকটাই কিম জং উনের শাসনব্যবস্থার মতো।
পার্কের দাবি, তিনি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার স্কুলের ক্লাসরুমের কোনও ফারাক খুঁজে পাননি। তিনি দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার স্কুলে আমেরিকাকে গালাগালি দেওয়া হত। আর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখলাম প্রফেসাররা আফ্রিকা এবং এশিয়ার যাবতীয় সমস্যার জন্যে আমেরিকাকে দায়ী করা হচ্ছে। আমি এটা বিশ্বাস করতেই পারিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পার্ক বলেন, 'সব প্রফেসাররাই বলতেন, যে বর্তমানে বিশ্বে যেসব সমস্যা রয়েছে তার নেপথ্যে রয়েছে সাদা চামড়ার মানুষরা। এবং তাঁরাই আফ্রিকা এবং এশিয়াতে উপনিবেশ গঠন করে। আর সেটাই সব সমস্যার মূল। এবং সাদা চামড়ার মানুষদেরকে সবকিছুর জন্যে দোষ দেওয়া হয়। আমি তা বিশ্বাসই করতে পারিনি।'
পার্ক দাবি করেন, গণতান্ত্রিক আমেরিকা এবং একনায়কতান্ত্রিক উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। আমেরিকাতেও পার্ক 'পশ্চিমা বিরোধী মনোভাব' খুঁজে পেয়েছেন। তাঁর দাবি, ভাষা এবং লিঙ্গ বিষয়ক বহু ক্ষেত্রেই উত্তর কোরিয়াও আমেরিকার মতো এতটা পাগল না। এর আগে উত্তর কোরিয়াতে আমার শত্রু একমাত্র কিম ছিলেন। এখনও বহু মার্ক্সিস্ট, কমিউনিস্ট, লেনিনিস্ট, মাওবাদীরা আমাকে খুনের হুমকি পাঠায়।