ইভিএম নিয়ে বিরোধী দলগুলির বিরোধিতা দীর্ঘদিনের। এই সংক্রান্ত বিতর্কের জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এই আবহে ১১ জানুয়ারি ইভিএম সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনকে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করল, সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত নির্দেশিকা বা এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) মেনে ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে ইভিএমের পরীক্ষা করানো হয়েছিল? (আরও পড়ুন: প্রয়াত রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস, বয়স হয়েছিল ৮৫)
আরও পড়ুন: 'কেনার কী আছে, নিয়ে নেব...', গাজা নিয়ে আরও কড়া বার্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের
এরই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে সংশ্লিষ্ট ইভিএম থেকে তথ্য মুছে না ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। ৩ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত একটি হলফনামা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে কংগ্রেস নেতার সর্ব মিত্তরের পক্ষ থেকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট দেবদত্ত অভিযোগ করেছিলেন, ইভিএমের বার্ন মেমরি বা মাইক্রোকন্ট্রোলার পরীক্ষা করতে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া যেই একটি ইভিএম স্ক্রুটিনির জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাতে ডেটা ছিল না। উল্লেখ্য, হরিয়ানার রানিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে আইএনএলডি প্রার্থী অর্জুন চৌতালার কাছে হেরে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের সর্ব মিত্তর। (আরও পড়ুন: মোদীর সঙ্গে বৈঠকে সুন্দর পিচাই, আলোচনা 'ভারতের ডিজিটাল রূপান্তর' নিয়ে)
উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর এবং কংগ্রেস নেতা সর্ব মিত্তার ইভিএম মেশিনের বার্ন মেমরি ও সিম্বল লোডিং ইউনিটগুলি পরীক্ষা করে দেখার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন দেশের শীর্ষ আদালতে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এডিআর-এর হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল-জবাব করেন প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ৷ তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের এসওপি অনুযায়ী শুধুমাত্র মক পোলের সময় ইভিএম-এর পরীক্ষা করা হয়। তিনি জোর দেন, তাঁর মক্কেল চান কেউ ইভিএম-এর সফ্টওয়্যার ও হার্ডওয়্যারগুলি পরীক্ষা করে দেখুন, এই মেশিনের মাধ্যমে বাইরে থেকে কোনও কারসাজি করা যায় কি না। এদিকে এই পরীক্ষা করার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তা নিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয় যে একটি ইভিএম পরীক্ষা করতে ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। এই আবহে শীর্ষ আদালত বলে, 'এটা অত্যন্ত বেশি, ৪০ হাজার থেকে দামটা কমান।'
গত বছরের ২৬ এপ্রিল ইভিএম-এর বদলে পুরনো ব্যালট পেপারের পদ্ধতিতে ভোট পরিচালনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে নির্বাচনে পরাজিত ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে লিখিত আবেদন জানিয়ে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ইভিএম-এর ৫ শতাংশের মাইক্রোকন্ট্রোলার চিপগুলি পরীক্ষা করতে পারবেন বলে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ২০২৪ সালের ১ মে থেকে সিম্বল লোডিং ইউনিটগুলিকে সিল করে রাখতে হবে।