মুম্বই উত্তরপশ্চিম লোকসভা কেন্দ্র থেকে মাত্র ৪৮ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শিবসেনা দলের প্রার্থী রবীন্দ্র ওয়াকার। সেই রবীন্দ্রর এক আত্মীয় মঙ্গেশ পন্ডিলকর নাকি ভোট গণনার সময় কেন্দ্রে বসেই ফোন ব্যবহার করছিলেন। পুলিশ দাবি করেছে, এই মঙ্গেশের ফোনের সঙ্গে ইভিএম সংযুক্ত ছিল। ভোট গণনার সময় নাকি মঙ্গেশের ফোনে ওটিপি আসছিল। সেই ওটিপি দিয়ে নাকি ইভিএমগুলি 'আনলক' করা যাচ্ছিল। এই আবহে পুলিশ তদন্তে করে বের করতে চাইছে যে মঙ্গেশের কাছে এমন ফোন কোথা থেকে এল যেটি ইভিএম-এর সঙ্গে যুক্ত। মুম্বইয়ের বনরাই থানার পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে। (আরও পড়ুন: ৬% সুদ সহ বকেয়া ভাতা দিতে হবে বাংলার সরকারি কর্মীদের, রাজ্যের কান মুলে দিল আদালত)
আরও পড়ুন: বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে জিরো FIR কলকাতা পুলিশের, মামলায় নাম ভাইপোর
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন থমকে থাকার পর কাটতে পারে জট, বাংলায় শুরু হতে পারে নয়া রেললাইনের কাজ
এই নিয়ে বনরাই থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর রামপ্যায়ারে রাজবহর সংবাদপত্র মিড ডে-কে বলেন, 'আমরা ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিকে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা এটাও খতিয়ে দেখছি যে এই মোবাইল ফোন অন্য কোনও কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল কি না। আমরা সেই লোকসভা কেন্দ্রের অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযুক্ত মঙ্গেশ পন্ডিলকর এবং দীনেশ গৌরবকে (ভোট পোর্টাল অপারেটর) নোটিশ পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখছি। কীভাবে সেই ফোন গণনা কেন্দ্রের ভিতরে গেল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সোনালি ব্যাঙ্ককে প্রায় কোটি টাকা জরিমানা RBI-এর! কিন্তু কেন?)
আরও পড়ুন: EVM ব্যবহার বন্ধের দাবি মাস্কের, পালটা বার্তা ভারতের প্রাক্তন IT মন্ত্রীর
আরও পড়ুন: জীবন বিমার নিয়মে বড় পরিবর্তন আনল আইআরডিএআই, কী বলছে নয়া বিধি?
এদিকে এই প্রতিবেদনটি টুইট করে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ইলন মাস্ক সম্প্রতি ইভিএম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টটি রিটুইট করে এই প্রতিবেদন পোস্ট করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে রাহুল গান্ধী লেখেন, 'ভারতে ইভিএম হল ব্ল্যাকবক্স। এই নিয়ে কারও প্রশ্ন করার অধিকার নেই। আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেল। যখন প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতার অভাব থাকে তখন গণতন্ত্র একটি প্রতারণা এবং প্রতারণার প্রবণতায় পরিণত হয়।' উল্লেখ্য এর আগে পুয়ের্তো রিকোর নির্বাচনে ইভিএম বিভ্রাটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক পোস্ট করে ইলন মাস্ক লিখেছিলেন, 'ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বাতিল করে দেওয়া উচিত। মানুষ বা এআই দ্বারা ইভিএম হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তাও তা হলেও হতে পারে। এই সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।'