আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ? আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই মামলা শুনবে। পাঁচদিনের মধ্যে শুনানি-পর্ব শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
সেই সাংবিধানিক বেঞ্চে আছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। তারইমধ্যে ভারতের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, মসৃণভাবে মামলার শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি ফের নথিভুক্ত করা হয়েছে। মূল বিষয়টির শুনানি শুরু হবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। তার ফলে হাতে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে।
সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা দায়ের হয়েছিল, তা ২০২০ সালের অগস্ট পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম চালু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: EWS সংরক্ষণ চালু থাকবে NEET-PG ভর্তিতে, ডাক্তারদের আর্জির খারিজ করে জানাল SC
কারা মামলা করেছিল?
২০১৯ সালে সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনীকে (তফসিলি জাতি ও উপজাতি-সহ সমাজের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির নাগরিক ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি চাকরিতে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ) চ্যালেঞ্জ করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জনহিত অভিযান, ইউথ ফর ইক্যুইলিটি-সহ অনেকে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল। ওই পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল, কারও আর্থিক অবস্থা সংরক্ষণের একমাত্র ভিত্তি হতে পারে না।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সব মামলাকারীরা চূড়ান্ত বয়ান দাখিল করেছে। মামলাকারীদের দাবি, সংবিধানের প্রাথমিক কাঠামোর লঙ্ঘন করেছে ১০৩ নম্বর সংশোধনী। তফসিলি জাতি ও উপজাতি-সহ সমাজের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির নাগরিক ছাড়া আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়টি বাড়াবাড়ি তো বটেই, বিধিবহির্ভূতও।
আরও পড়ুন: EWS-দের জন্য ১০%, OBC-দের জন্য ২৭% - মেডিকেল ও ডেন্টাল কোর্সে সংরক্ষণের ঘোষণা কেন্দ্রের
সেইসঙ্গে মামলাকারীরা দাবি করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ প্রদানের বিষয়টি মূল কাঠামোকে লঙ্ঘন করছে। সংবিধানের ৪৬ ধারার আওতায় 'শ্রেণি' বলতে শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়েছে। তাতে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির কথা বলা হয়নি।