২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনের অঙ্ক কষে বিজেপি বিরোধী দলগুলি একজোট হচ্ছে। পটনার পর আগামী সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতেও বৈঠকে বসার কথা বিরোধী দলগুলির। সেই বৈঠকে থাকবেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে একাই লড়েছিলেন অখিলেশ। জয় অবশ্য অধরাই থেকেছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় পর্যায়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বৃহত্তর জোটে আসার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিতই দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। তবে বেঙ্গালুরুর বৈঠকের আগেই জোর ধাক্কা খেল অখিলেশের দল। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির জোট সঙ্গী সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনডিএ-তে যোগ দিল। এবিএপি-র প্রধান ওম প্রকাশ রাজভরের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে টুইটও করেন অমিত শাহ। (আরও পড়ুন: '২০১৯-এ আমাকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোদী', বিস্ফোরক কুমারস্বামী)
অমিত শাহ টুইটে লেখেন, 'দিল্লিতে ওম প্রকাশ রাজভরের সঙ্গে বৈঠক হল। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ দিতে চেয়েছেন তিনি। আমি তাঁকে এনডিএ পরিবারে স্বাগত জানাতে চাই। রাজভরের এনডিএ-তে যোগদান উত্তরপ্রদেশে আমাদের জোটকে আরও শক্তিশালী করবে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ মানুষের জন্য যে কাজ করতে চায়, তা আরও গতি পাবে।' উল্লেখ্য, রাজভরের দল এর আগেও এনডিএ-তে ছিল। রাজভর নিজে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের সঙ্গে দেখা করেন রাজভর। তারপরই তাঁর দলের এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও সেই সময় রাজভর এবং তাঁর দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ দাবি করেছিলেন, এটা ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ। রাজনীতির সঙ্গে এর যোগ নেই।
এদিকে ব্রজেশ পাঠকের সঙ্গে এরপরও রাজভরের একাধিবার দেখা হয় বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। যোগী সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী দয়া শংকর সিংকেও দেখা গিয়েছিল রাজভরের সঙ্গে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের অন্য উপমুখ্যমন্ত্রী কেসব প্রসাদ মৌর্য সম্ভাব্য জোট নিয়ে বলেছিলেন, 'দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।' মনে করা হচ্ছে, গাজীপুর থেকে রাজভরের ছেলেকে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দিতে চায় বিজেপি। এদিকে যোগী ২.০-তে রাজভরকে মন্ত্রী করতে ইচ্ছুর গেরুয়া শিবির। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, লোকসভায় ৩ থেকে ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে এসবিএসপি। তবে কোন অঙ্কে রাজভর জোট বদল করলেন, তা লোকসভা নির্বাচনের আগেই বোঝা যাবে।