গতকাল একে অ্যান্টনির ছেলের পর আজ কংগ্রেসকে আরও বড় ধাক্কা দিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি। অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের শেষ মুখ্যমন্ত্রী হাত শিবির ছেড়ে আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন। আজ গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে কিরণ রেড্ডি জানান, তিনি কোনও দিন ভাবেননি যে তাঁকে কংগ্রেস ছাড়তে হবে। তিনি বলেন, 'দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পর পর ভুল সিদ্ধান্তরে কারণেই কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য হয়েছি আমি।' তিনি অভিযোগ করেন, জনমত মেনে নিয়ে ভুল শোধরাতে অক্ষম হয়েছে কংগ্রেস। কিরণ বলেন, 'কংগেস হাইকমান্ড মনে করে যে তাঁরা যাবে ভাবেন, সেটাই সঠিক। আর ভারতের জনগণ সহ অন্য সবাই ভুল।' (আরও পড়ুন: রবিতে সল্টলেক থেকে গঙ্গার নীচে দিয়ে হাওড়া ময়দান যাবে মেট্রো, হবে ট্রায়াল রান)
কিরণ রেড্ডি আজ বলেন, 'রাজ্যের পর রাজ্যে হাইকমান্ডের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ভরাডুবি হচ্ছে দলের। কংগ্রেস শক্তি হারাচ্ছে সব দলেই। মানুষের সঙ্গে তারা কথা বলে না। দলের নীচু স্তরের নেতাদের মতামত গ্রহণ করে না কংগ্রেসের হাইকমান্ড। এটা কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের কথা নয়। গোটা দেশে এই একই ঘটনা ঘটে চলেছে।' কংগ্রেস হাইকমান্ডকে খোঁচা মেরে চারবারের বিধায়ক বলেন, 'একটা প্রবচন আছে - আমার রাজা খুব বুদ্ধিমান। কিন্তু নিজে কিছু চিন্তা করেন না। তিনি অন্য কারও পরামর্শও গ্রহণ করেন না।'
আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে হাই কোর্টের পরামর্শের পরই আরও তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের
এদিকে বিজেপির উত্থানের সঙ্গে কংগ্রেসের পতনের সামঞ্জস্য খুঁজে পেয়েছেন কিরণ রেড্ডি। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গেরুয়া শিবিরের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। প্রসঙ্গত, তিন সপ্তাহ আগেই কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের শেষ মুখ্যমন্ত্রী এন কিরণকুমার রেড্ডি। প্রসঙ্গত, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই অন্ধ্র বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। জল্পনা, কিরণকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসাবে তুলে ধরে ভোটে যেতে পারে পদ্ম শিবির। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত কিরণ ২০০৯ সালে বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাজশেখরের প্রয়াণের পরে তাঁর ছেলে জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল কিরণের। ২০১০ সালে কিরণকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে জগন্মোহন দল ছেড়েছিলেন। এদিকে মনমোহন সরকারের অন্ধ্র ভাঙার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২০১৪ সালে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন কিরণ রেড্ডিও। ২০১৪ সালে জয় সমৈকান্ধ্র পার্টি গড়েছিলেন কিরণ। পরে অবশ্য ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কংগ্রেসে ফিরে এসেছিলেন তিনি। তবে সেভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু এবার বিজেপির হয়ে নতুন উদ্দমে ময়দানে নামতে পারেন তিনি।