এবার ২১শের নির্বাচনে জয়লাভ করার পরেই লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছিল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের লক্ষ্য যে জাতীয় ক্ষেত্রে দলকে প্রতিষ্ঠা করা সেকথাও জানিয়ে দিয়েছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করতেও ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছিল তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরায় কার্যত সফল হয়েছে তৃণমূল শিবির। ত্রিপুরায় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক বৃহস্পতিবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। ব্রাত্য বসু, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি এদিন সুবল ভৌমিকের সঙ্গে অনেকেই আগরতলায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সুবল ভৌমিকের হাত ধরে ত্রিপুরায় আরও শক্তিশালী হবে তৃণমূল।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে রাজনৈতিক জার্নিতে বার বারই দলবদল করেছেন সুবল ভৌমিক। একসময়ে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কংগ্রেসের বিধায়কও ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন তিনি। এরপর প্রগতিশীল গ্রামীণ কংগ্রেস নামে দলও গঠন করেছিলেন। পরে আবার দলবল নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে মিশে যান। মূলত তৎকালীন সময়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর । পরবর্তী ক্ষেত্রে মুকুল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতেই তিনিও বিজেপিতে চলে যান। এরপর ফের বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রেখে চলতেন তিনি। ২০১৯ সালের পর থেকে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। সেই সুবল ভৌমিকই ফের এলেন তৃণমূলে।