গত ২৬ জুন দিল্লি এইসমে ভরতি করা হয়েছিল ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানিকে। এরপর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল কয়েকদিনের মধ্যে। তবে সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একবার হাসপাতালে ভরতি করা হল বিজেপির এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩ জুন, বুধবার রাতে আডবানিকে দিল্লির অ্যাপোলে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, আডবানিকে নিউরোলজি বিভাগে ভরতি করা হয়েছে। অ্যাপোলো হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত আডবানির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের শীর্ষ স্থানীয় নিউরোলজিস্ট ডঃ বিনীত সুরীর তত্ত্বাবধানে ভরতি করা হয়েছে আডবানিকে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩ জুন, বুধবার, রাত ৯টা নাগাদ আডবানিকে দিল্লির অ্যাপোলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চিকিৎসা। তবে ঠিক কী কারণে আডবানিকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়, তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। তবে পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ না করা হলেও গভীর রাতে হাসপাতালের তরফ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, আপাতত ভারতের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
এর আগে গত ২৬ জুন, নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভরতি করা হয়েছিল লালকৃষ্ণ আডবানিকে। সেবার হাসপাতালের জেরিয়াট্রিক বিভাগে ভরতি করা হয়েছিল এই ৯৬ বছর বয়সি রাজনীতিবিদকে। এই আবহে অনুমান করা হয়েছিল, আডবানির বার্ধক্যজনিত সমস্যার চিকিৎসা চলছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন আডবানি। তবে কয়েকদিনেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। তবে ফের একবার হাসপাতালে ভরতি হতে হল আডবানিকে।
এর আগে জুন মাসে একাধিক শীর্ষনেতার সঙ্গে দেখা করেছেন আডবানি। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে গত ৭ জুন নয়াদিল্লিতে আডবানির বাসভবনে গিয়ে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন নরেন্দ্র মোদী। এর দু'দিন পরেই আডবানির বাসভবনে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর ২২ জুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর সঙ্গে দেখা করেন আডবানি। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আডবানিকে ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়েছিল। অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার সপ্তাহদুয়েকের মধ্যেই সেই ঘোষণা করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, রামজন্মভূমি আন্দোলনের ‘মুখ’ ছিলেন আডবানি। তাঁর হাত ধরেই ২ সাংসদের দল থেকে ধীরে ধীরে দেশে শক্তি বাড়িয়েছিল বিজেপি। পরে বাজপেয়ী সরকারে উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আডবানি।